School Teacher দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ।
অতিমারী আবহের পর সবে স্কুল খুলেছে। আর এই দুই বছরে স্কুল বন্ধ থাকার (School Teacher) পর এবার রাজ্যের শিক্ষার হাল ফেরাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর। তার মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষকদের উপস্থিতির হার ও সঠিক সময়ে স্কুলে আসা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। যার জন্য স্কুলে আসার সময় রিপোর্টকরে জানাতে হচ্ছে, শিক্ষকদের উপস্থিতি রেজিস্টারের খাতার ছবি তুলে পাঠাতে হচ্ছে, গুগল ফর্ম ফিলাপ করে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের উপস্থিতির সংখ্যা জানাতে হচ্ছে। আর এবার শিক্ষকদের জন্য আরেকটি কড়া পদক্ষেপ নিলো শিক্ষাদপ্তর।
বহু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশনের (School Teacher Private Tuition) সঙ্গে যুক্ত বলে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করা হলেও এখনো পর্যন্ত এক শ্রেণীর শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করে চলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের প্রাইভেট টিউশন সংগঠনের অভিযোগ, দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকায়, চুটিয়ে টিউশনি করার যায়গাটা পাকা করে নিয়েছেন অনেকেই।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একেবারে নির্দিষ্ট স্কুলের নির্দিষ্ট নামের শিক্ষক শিক্ষিকাদের (School Teacher) নামে এই অভিযোগ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে জমা পড়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন। প্রাইভেট টিউশন নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই 45টি স্কুলের প্রায় 200 জন শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে প্রাইভেট টিউশন নিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এই লিস্ট এখানেই শেষ নয়, লিস্টে আরও অনেক নাম আছে।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ওই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা (School Teacher) প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেই শিক্ষক শিক্ষিকাদের নাম ধরে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। Right to Education Act অনুযায়ী, স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না। এই বিষয়ে এর আগেও সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও তারা প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় এবার সরাসরি তাদের নামে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কৈফিয়ৎ তলব করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
DA না দেওয়ায় চরম অস্বস্তিতে নবান্ন, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে, আবার নতুন করে ভাবতে হচ্ছে, দেখুন লাইভ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘরিয়া, দমদম, বরানগর সহ একাধিক জায়গার স্কুলে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এবার শুধু নোটিশ জারি করেই ছেড়ে দেওয়া নয়, শিক্ষকদের (School Teacher) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে সরকার।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই ধরনের মনোভাব কখনোই কাম্য নয়। একাধিকবার সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হলেও যে সমস্ত শিক্ষকরা (School Teacher) এই প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তারা সমাজকে কি বার্তা দিচ্ছেন? সেই বিষয়ে শিক্ষকদেরই একবার ভেবে দেখা দরকার।
অথচ বিভিন্ন সময়ে নিজেদের বেতন সহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনোরকম সমস্যার সৃষ্টি হলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন। একদিকে সমস্ত প্রাপ্য সঠিকভাবে সরকারের কাছ থেকে নেবেন, আবার সরকারের দেওয়া নির্দেশ মান্য করবেন না, এই ধরনের আচরণ শিক্ষকদের কাছে আশা করা যায় না।
যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন একাধিক শিক্ষক সংগঠন। তবে শিক্ষকেরা (Written By) সমস্ত প্রাপ্য সঠিক ভাবে পাচ্ছেন, এটা মেনে নিতে পারছেন না। শিক্ষকদের (School Teacher) অভিযোগ, রাজ্যের প্রত্যেক শিক্ষক অন্য রাজ্যের তুলনায়, ডিএ, সঠিক বেতন স্কেল থেকে বঞ্চিত। এই দাবী গুলো নিয়ে মামলাও হয়েছে, তাতে জয় পেছেন শিক্ষক ও কর্মীরা, তবে সরকার ও তো আইন মেনে সেই প্রাপ্য দিচ্ছেন না। শিক্ষকদের সঠিক মাইনে পেলে অনেকেই প্রাইভেট টিউশনির কথা ভাববেন না।
Written By Rajib Ghosh.
1 সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে বিশেষ ছুটির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কারা পাবেন?