Primary TET 2014 Case সংক্রান্ত নথি CBI-এর কাছে জমা দিল পর্ষদ।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET 2014 Case) নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা চলছে। তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষকদের যারা 2014 সালের TET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের সমস্ত ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে CBI.
সেই ডকুমেন্টস চেয়ে পাঠানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে। এরপরেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের (Primary TET 2014 Case) পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রায় 43 হাজার শিক্ষককে তাদের সমস্ত নথি জমা দিতে বলা হয়েছে। এর জন্য একটি ইমেল আইডি দেওয়া হয়েছে।
সেই ইমেইলের মাধ্যমে 2014 সালের TET উত্তীর্ণ হওয়া যারা শিক্ষকের নিয়োগপত্র পেয়েছেন, তারা তাদের সমস্ত নথি যেমন, টেটের শংসাপত্র, মাধ্যমিকের সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র, বয়সের প্রমাণপত্র, প্রাথমিকে নিয়োগের জয়েনিং লেটার, শিক্ষক প্রশিক্ষণের প্রমাণ পত্র সহ 12 দফা নথি (Primary TET 2014 Case) চেয়ে পাঠানো হয়েছে। 2014 সালে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর যারা প্রাথমিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের এই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখবে CBI.
ব্যাংক একাউন্টে টাকা না থাকলেও ১০ হাজার টাকা তুলতে পারবেন, কিভাবে, জানুন
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের জানিয়ে দেওয়া হয়, Email- এর মাধ্যমে তাদের সমস্ত নথি সংসদকে পাঠিয়ে দিতে হবে। বুধবারের মধ্যে সমস্ত নথি জমা পড়ে গিয়েছে। এরপরেই সেই 42 হাজার 949 জন প্রাথমিক শিক্ষকের ডকুমেন্টস সিবিআই (Primary TET 2014 Case) এর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
প্রাথমিকের 42 হাজার 949 জন শিক্ষকের সমস্ত নথি বুধবারের মধ্যেই অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জমা পড়ার পরেই CBI- এর হাতে তুলে দেওয়া (Primary TET 2014 Case) হয়েছে। এবার ওই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
আর কার্যত সেই কারনেই, প্রাথমিক টেট সংক্রান্ত মামলার (Primary TET 2014 Case) রায়দান আজ স্তগিত রাখলো কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই এর সিদ্ধান্তের উপর কার্যত নির্ভর করছে ৪৩ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের ভবিষ্যৎ।
অন্যদিকে সংবাদ সুত্রে জানা যাচ্ছে, যারা সঠিক ভাবে পাশ করে ইন্টারভিউ দিয়েছে আর পর্ষদের ইমেই বা মেসেজ পেয়ে ইন্টারভিউ ও কাউন্সেলিং এ অংশগ্রহণ করেছে, তাদের ভয় পাওয়ার কারন নেই।
Written by Rajib Ghosh.