WB School – লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, স্কুল বন্ধের আশংকা, প্রস্তুতি শুরু, কি জানালো শিক্ষা দপ্তর, কবে থেকে।

WB School – ফের স্কুল বন্ধের সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে।

প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমনের মাত্রা, কিন্তু কারো হুস নেই। এখনও মাস্ক বাধ্যতামুলক (WB School) করা হলো না। অথচ তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ১০০০ ছাড়ানোর সাথে সাথেই মাস্ক বাধ্যতামুলক করেছিলো সরকার। এবার এই পরিস্থিতিতে আরেকবার লক ডাউন বা স্কুল বন্ধের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

ফের আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রাজ্য জুড়ে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফের বন্ধ (WB School) হবার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্কুল-কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় করোনা অতিমারির সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ছুটি ঘোষণা হয়ে যেতে পারে।

কো’ভিড সংক্রমণের শুরুতেই রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি (WB School) বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পড়ুয়ারা যথেষ্ট সমস্যার মধ্যেই পড়ে। কিন্তু করোনা অতিমারী লাগামছাড়া সংক্রমনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেই সময় থেকে অনলাইনে পড়াশোনা চালু হলেও পরবর্তীতে অফলাইনে কিছুদিন যাবত পড়াশোনা, পরীক্ষা প্রক্রিয়াগুলি শুরু হয়েছে।

স্কুল-কলেজে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিকভাবে খুলেছে। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে ধীরে ধীরে ক’রোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তাই ফের হয়তো স্কুল-কলেজগুলো আরো একবার বন্ধ হবার সম্মুখীন। সংক্রমণের কারণে বারবার পড়ুয়াদের পড়াশোনার উপরে প্রভাব পড়ছে। , স্কুল কলেজ (WB School) এই মুহূর্তে ফের বন্ধ হয়ে গেলে ছাত্রছাত্রীদের দৈনন্দিন পড়াশোনা যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে পারে।

রাজ্য জুড়ে ক’রোনার লাগামছাড়া সংক্রমণের চিত্রটি একবার দেখলেই বোঝা যাবে। যেখানে 5 জুলাই ক’রোনা পজিটিভ হয়েছিলেন 1973 জন, সেখানে 6 জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 2352 জন, আবার 7 জুলাই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 3 হাজার ছুই ছুঁই। মৃত্যু হয়েছে 2 জনের। গত বছরের সেই স্মৃতি ফের ফিরে (WB School) আসছে। রাজ্যে একদিনে সেই সময় 4 হাজারের গন্ডি ছাড়িয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা।

সংক্রমনের গ্রাফ পর পর বেড়ে গিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। একটা সময় হাসপাতালে প্রায় শয্যার আকাল চরম আকার নিয়েছিল। ক’রোনার চতুর্থ ঢেউ আসছে বলে সতর্কতা জারি হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও একটা আশার (WB School) কথা বলা যায়, ক’রোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও অধিকাংশ মানুষের সেরকম জটিল রোগ দেখা যাচ্ছে না। মৃত্যুহার যথেষ্ট কম।

আরো পড়ুন, ছাত্র ছাত্রীদের মাসে ৫ হাজার করে টাকা দেবে সরকার।

এই মুহূর্তে রাজ্যের অধিকাংশ মানুষেরই ডবল ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে ক’রোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও আগের মতো সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না। সেই কারণে চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, স্কুল-কলেজ (WB School বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না করলেই হয়।

সেখানে সকলকে করোনার সর্তকতা বিধি মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার ব্যবহার শুরু করতে হবে। জনবহুল এলাকায় মাস্ক ছাড়া বেরোনো চলবে না। নিয়ম মেনে করোনাবিধি পালন করতে হবে। প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। তবেই করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হতে পারে। কিন্তু এখনও কারো হুস ফিরছে না, নাকি অবস্থা বেগতিক হওয়ার পর রাশ টানবে প্রশাসন? আখেরে লাভ কার? নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Written by Rajib Ghosh.

টেট মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারের উল্টো চাল, হাসি ফিরছে প্রাথমিক শিক্ষকদের?

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment