West Bengal School Reopen – ফের স্কুল বন্ধ নিয়ে সতর্ক করলো শিক্ষা দপ্তর।
রাজ্যের স্কুলগুলি ৫৬ দিন লম্বা ছুটির পর সোমবার থেকে (West Bengal School Reopen) খুলে গিয়েছে। এমন একটা সময়ে স্কুলগুলি খোলা হয়েছে, যে সময় রাজ্য এবং দেশ জুড়ে সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। অতিমারী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর গত এক সপ্তাহে নতুন করে সংক্রমনের সংখ্যা ১৭ হাজার। এরকম একটা পরিস্থিতিতে স্কুল খুলে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। তবে করোনা বিধিকে হাতিয়ার করেই স্কুল খুলে রাখতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর, মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে সংক্রমণ ধীরে ধীরে তলানিতে এসে ঠেকেছে। সেই পরিস্থিতিটা চলেছে মে মাস পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য এবং দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে। এদিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছিলেন না। স্যানিটাইজার ব্যবহারও হচ্ছিল না। ফলে স্কুলে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা এখন আসতে শুরু করেছে, তারা কি আদৌ মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করবে? এই বিষয়টি নিয়েই চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। (West Bengal School Reopen)
যাতে পরবর্তীতে সংক্রমনের কারণে আবার স্কুল বন্ধ (West Bengal School Reopen) না হয়, তাই স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের অতিমারী বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠ এর প্রধান শিক্ষক বলেন, যদি ফের স্কুল বন্ধ হোক এটা না চাও, তাহলে সকলেই মাস্ক পরে আসবে। স্যানিটাইজার ব্যবহার করো। সংক্রমণ বিধি মেনে চলতে হবে। যোধপুর পার্ক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানো হচ্ছে সংক্রমণ ফের বাড়লেই বিপদ। শুধুমাত্র স্কুলে নয়, বাইরের চলাফেরার ক্ষেত্রেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম মেনে চলতে হবে। এতে কাজ হচ্ছে। কারণ কোনো ছাত্রছাত্রী চায় না ফের স্কুল বন্ধ হোক।
বেসরকারি স্কুলগুলিও প্রায় খুলতে শুরু করে দিয়েছে। রামমোহন মিশন স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের বলা হচ্ছে, স্কুলে নিয়ম মেনে চলতে হবে। স্কুলের ঢোকার আগে ফের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা (West Bengal School Reopen) করা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা শুধুমাত্র স্কুলে নয়, বাইরেও যেন নিয়ম মেনে চলে। সেই বিষয়টি বোঝানো হচ্ছে। বেসরকারি স্কুলগুলি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে অ্যালার্ট জারি করেছে।
ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলে আপাতত ছাত্রছাত্রীরা যাতে টিফিন ভাগ করে না খায়, কিছুটা হলেও দূরত্ব বিধি মেনে চলে, সেই বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। স্কুলে ঢোকার আগে তাপমাত্রা পরীক্ষা করার রীতি ফিরে এসেছে। এই গরমের মধ্যে সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকাটা যথেষ্ট কষ্টকর। এই বিষয়ে ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটা ঠিক, গরমে সব সময় মাস্ক হয়তো পরা যায় না। কিন্তু সংক্রমণ যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারন এই সময়ে সর্দি কাশি জ্বরের মতো সিজনাল ফ্লু ঘরে ঘরেই চলছে। তাই বোঝার উপায় নেই, কার সংক্রমণ হয়েছে। (West Bengal School Reopen)
জাল নথি যাচাই করতে, পর্ষদ ও শিক্ষকদের দেওয়া সমস্ত নথি ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশ
চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, অতিমারী একেবারে চলে যায়নি। আর ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে করোনা হবে না এমনটা নয়। ফলে সতর্ক থাকতে হবে। মাস্ক পরতে হবে। সংক্রমণ বিধি মেনে চলতে হবে। স্কুল যাতে বন্ধ না (West Bengal School Reopen) হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
12 থেকে 17 বছর বয়সী পড়ুয়াদের প্রায় 80% ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ পেয়ে গিয়েছে। তবে সংক্রমণ নিয়ে সর্তকতা রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।
Written by Rajib Ghosh.
আবেদন করুন ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী স্কলারশীপে, আর পেয়ে যান পড়াশোনার সব খরচ।