দ্বিতীয় ঢেউএ রূপ পালটে আরও ভয়াবহ হয়েছে ওই আণুবীক্ষণিক জীব। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। সংক্রমণ রুখতে বলবৎ করা হয়েছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। কিন্তু এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায়। তাই দ্রুত স্কুল-কলেজ খোলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার রাজধানী ঢাকার শের-ই- বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। সেই সময় সভায় উপস্থিত এক সচিব বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় দ্রুত সময়ে স্কুলগুলিও খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। শিশুরা ঘরে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে। সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।পর্যায়ক্রমে এই বন্ধের মেয়াদ দফায় দফায় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। যদিও এ বছর কয়েকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করেও করোনা পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত আর সম্ভব হয়নি। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, করোনা প্রতিরোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে।