গত ২৩ শে অক্টোবর মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী টেস্ট পরীক্ষা (Madhyamik HS Exam) নিয়ে জানিয়েছিলেন, স্কুল তার নিজের মত পরীক্ষা নেবে। কিন্তু গত সপ্তাহে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট নিয়ে আলাদা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আর এদিন আরেকটি নির্দেশিকা জানা গেল। যেসমস্ত স্কুল, আগ বাড়িয়ে মাধ্যমিকের (Madhyamik) টেস্ট পরীক্ষা নিয়েছে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে তাদের।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রাজ্যের স্কুলগুলিতে ১৩ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে টেস্ট পরীক্ষা হওয়ার কথা। এবং প্রত্যেকটি পরীক্ষার শেষে প্রশ্নপত্র মেল করে পাঠিয়ে দিতে হবে পর্ষদে। কিন্তু গত ১৬ নভেম্বর স্কুল খোলার পরই বহু স্কুল টেস্ট (Madhyamik HS Exam) নেওয়া শুরু করে দেয়। আর তারপর এত অল্প সময়ে পরীক্ষা নেওয়া এবং বোর্ডের আদেশ না মেনে ফুল মার্কে পরীক্ষা নেয় বহু স্কুল, যার ফলে বিপত্তি বাধে। শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশ এই সব স্কুলগুলিকে ফের টেস্ট নিতে হবে।
টেস্ট সংক্রান্ত সূচি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্কুলগুলিকে ১ ডিসেম্বর জানিয়েছে পর্ষদ। তারপর পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছে বিভিন্ন স্কুল। কিন্তু রাজ্যের একাধিক স্কুল ইতিমধ্যেই টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছে। সেই সমস্ত স্কুল যদি পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী পরীক্ষা না নেয়, তবে ফের পরীক্ষা নিতে হবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। Madhyamik HS Exam
আরও পড়ুন, দুয়ারে সরকার নিয়ে নতুন তথ্য
একাধিক সছল্লের প্রধান শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা অফলাইন পরীক্ষা নিয়েছি। সেই পরীক্ষাকে মান্যতা দেওয়ার আবেদন জানাব। অনুমোদন না মিললে ফের পরীক্ষা হবে। ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা ৭ থেকে ১৬ মার্চ। তার আগে দু’বার পরীক্ষা নিলে পড়ুয়াদের উপর মানসিক চাপ পড়তে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। অভিভাবক দের বক্তব্য, বারবার পরীক্ষা হওয়ার ফলে ছাত্রছাত্রীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি হবে। ফের পরীক্ষা না নিয়ে ক্লাস হলে ভাল হত। Madhyamik HS Exam
আরও পড়ুন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সিওর শর্ট সাজেশন
পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, যে প্রতিষ্ঠানগুলিতে মাধ্যমিকের টেস্ট সংক্রান্ত বোর্ডের নিয়ম ভাঙা হয়েছে, তাদের উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে পর্ষদ। এই অবস্থায় কোনও স্কুল বোর্ডের সময়সীমা মেনে টেস্ট না নেওয়ার আবেদন করলে নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া স্কুলগুলি আগে জানাক, তারা নিয়ম ভেঙে কেন পরীক্ষা নিয়েছে। ফের পরীক্ষা নিতে হবে কি না, তা আবেদনের ভিত্তিতে আমরা খতিয়ে দেখে জানাব।”
সংবাদসুত্রে জানা যাচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী, ফের প্রশ্ন তৈরি করে স্কুলগুলিকে পরীক্ষা নিতে হবে। তবে আবেদন করলে পুরনো পরীক্ষাতেই সিলমোহর দিতে পারে পর্ষদ। এবার উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও ৫০ নম্বরের বেশী নম্বরের পরীক্ষা নিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যদিকে যে সমস্ত স্কুল প্রশ্ন পাঠাবে সেই সমস্ত প্রশ্ন বাছাই করে তার থেকে প্রশ্ন নিয়ে টেস্ট পেপার বানাবে WBBSE Board এবং WBCHSE Council. সংবাদসুত্র সংবাদ প্রতিদিন।