স্থায়ীকরণ, ন্যায্য বেতন প্রদান এবং অবসরকালীন ভাতা প্রদান এই তিনটি প্রধান দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিলেন আংশিক সময়ের শিক্ষকরা। মঙ্গলবার তমলুক শহরে ডিআই এর কাছে তাঁরা এই ডেপুটেশন দেন।সরকারি বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যা কম থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ আংশিক সময়ের শিক্ষক নিয়োগ করেন। বছরের পর বছর প্রায় বিনা পারিশ্রমিকে পড়াচ্ছেন তাঁরা। মাসে মাত্র দেড়-দু-হাজার টাকা বেতন নিয়েই প্রায় স্থায়ী শিক্ষকদের মতোই শিক্ষাদান করে চলেছেন। সারা রাজ্যে এই শিক্ষকদের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। এমনটাই জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের আংশিক সময়ের শিক্ষকরা। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয় আংশিক সময়ের শিক্ষক সংগঠনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিক্ষকরা প্রথমে তমলুক শহরের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ডিআই এর কাছে তাঁদের আবেদন জানান। ডিআই বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সভাপতি পরিতোষ বেরা, সম্পাদক শুকদেব সাহু, সুবলচন্দ্র জানা, সমীর সাউ, অনিন্দিতা সামন্ত, শ্রীপর্ণা দাস, শেখ আব্দুস সাত্তার, শুভাশিস শেঠ, অনুপম সাঁই, মোনালিসা দাস প্রমুখ। শিক্ষকরা বলেন, অসময়ে শিক্ষকতার জন্য বিদ্যালয়ে নেওয়া হলেও পরে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এমন হাজার-হাজার শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। বিদ্যালয় থেকে কোনওভাবে আমাদের কারওকে বিতাড়িত করা যাবে না। লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় এই সামান্য পারিশ্রমিকও দেওয়া বন্ধ করে দিয়ছে স্কুল। সরকারি শিক্ষা দফতর এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও বহুবার আবেদন করা হয়েছে আমাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি।