পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ (West Bengal TET) নিয়ে বিতর্ক যেন ছাড়ছেই না। ইতিমধ্যেই কয়েকটি নিয়োগের মামলার সুরাহা হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু আবার নয়া মামলার গেরোয় না নিয়োগে আবার বাঁধা সৃষ্টি হয়, আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এবার শিক্ষক নিয়ো নিয়ে নতুন মামলা হলো।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, এসএসসি গ্রুপ ডি (Group D) এর পর এবার টেটে পরীক্ষায় (West Bengal TET) ক্যাটাগরির অনিয়ম। টেট ২০১৪ নিয়ে হাইকোর্টে অস্বস্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার বোর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে ক্যাটাগরি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইকে এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগের প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এসএসসি এর অস্বস্তির মাঝে আবার প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এক্ষেত্রে মামলাকারী, কিভাবে টেট জেনারেল ক্যাটাগরির সফল প্রার্থীরা সংরক্ষণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এর একাধিক পদে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ।
২০২১ এর জানুয়ারি মাসে প্রাথমিকভাবে, বোর্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয় কিভাবে জেনারেল ক্যাটাগরির সফল প্রার্থীরা সংরক্ষণ তালিকায় চলে আসে। ক্যাটাগরির অনিয়ম সংশোধনের জন্য বোর্ডের কাছে আবেদন করেও কাজ হয়নি। (West Bengal TET) তারপর পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা এই পরীক্ষার্থী শেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ জানার পর হাইকোর্টের প্রশ্ন কিভাবে এটা সম্ভব। চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। পরীক্ষার্থীর আইনজীবী অতরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমিত ভঞ্জ একাধিক ক্যাটাগরি অনিয়মের প্রসঙ্গ তুলে জানান যে, এক্সেমপটেড ক্যাটাগরিতে উনাদের মত মক্কেলদের ঢুকিয়ে দিয়ে কোথাও একটা অনিয়ম করা হয়েছে বলে অনুমান করছেন।
আইনজীবীরা আরও জানিয়েছেন ক্যাটাগরির অনিয়মের আরো অনেকে অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে পর্ষদ কি পদক্ষেপ নেয় তা দেখেই আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেব। এখনও তিন সপ্তাহ সময় হাতে রয়েছে বোর্ডের কাছে। তাই বিচারপতির মৌসুমী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন পদক্ষেপ করতে এবং পর্ষদকে যুক্তিগ্রাহ্য একটা সমাধানে উপনীত হতে। টেট মামলার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ক্যাটাগরি অনিয়মের অভিযোগ কে নতুন বলেই মনে করছেন আইনজীবীদের অনেকে।