শিক্ষক নিয়োগ (WBSSC) নিয়ে আশা নিরাশার মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। নিয়োগ দুর্নীতিতে চাঞ্চল্যকর মোড়। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ। বেনিয়মের বহর দেখে বিস্মিত কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু তাই নয় সিআইসিএফ, আইবি, সিবিআই দিয়ে SSC অফিস ঘিরে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি CBI তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছেন কোল্কাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সূত্রে খবর, স্কুলের ১৩ হাজার শূন্যপদে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের জন্যে ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস (WBSSC) কমিশন কে সুপারিশ করেছিল রাজ্য। সেই মতো পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ নেয় এসএসসি। পরে তাঁরা প্যানেল প্রকাশ করে। ২০১৯ সালে ওই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু অভিযোগ ওঠে যে, প্রকাশিত প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নিয়মবহির্ভূত ভাবে প্রচুর নিয়োগ করেছে কমিশন।
দুয়ারে রেশন, ৪২ হাজার কর্মী নিয়োগ, আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন
প্রার্থীদের অভিযোগ, এই বেনিয়ম হয়েছে কমিশনের বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসেও। বেনিয়মে নিয়োগ প্রাপ্ত ২৫ জনের নিয়োগের তথ্য ও তুলে ধরে মামলা হয় হাই কোর্টে। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে। বিচারপতি ওই ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের নথিসহ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনের সচিবকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। তারপর আজ এই মামলার শুনানি হয়
আজ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তুলোধনা করে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আজ, বুধবার তিনটের মধ্যে সব তথ্য আদালতে দিতে হবে। কোনও সময় দেওয়া হবে না। না হলে প্রয়োজনে সিআইসিএফ, আইবি, সিবিআই ঘিরে থাকবে অফিস। সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। এর পিছনে কে রয়েছে? কেন নিয়োগ করা হয়েছে? কোন পদ্ধতিতে তার মেমো নম্বর জানানো হোক।
এর পরই তিনি বলেন, ‘‘কমিশনের কোনও কর্মীকে বাইরে যেতে দেব না। সিবিআই পাঠিয়ে সমস্ত কম্পিউটারের সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। এই সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক অফিসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও কম্পিউটার অপারেট করা যাবে না।