School Reopen West Bengal – স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নবান্নের

রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে, আর মুখ্যমন্ত্রীর পূর্বের ঘোষণা মতো স্কুল খোলার ( School Reopen West Bengal) প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এদিকে যেমন মহোৎসবের পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তোড়জোড় চলছে পুরোদমেই, অন্যদিকে কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে স্কুল খুলতে একটু দেরিও হতে পারে।

নবান্ন সূত্রের খবর, করোনার মতিগতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। দুর্গাপুজোয় বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে ভিড় যেভাবে রাস্তায় নেমেছিল, যেভাবে অবাধ মেলামেশা হয়েছে, তাতে আগামী ১৫ দিন করোনার গ্রাফ কোন দিকে যায়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। পুজোর ছুটির পরে স্কুল কবে খুলবে, সেটা চূড়ান্ত হবে তার পরেই।School Reopen West Bengal

পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তবেই উৎসবের ছুটির পরে স্কুল খুলবে। সেই অনুযায়ী শিক্ষা শিবিরের একাংশের ধারণা ছিল, স্কুল খুলে যেতে পারে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ১০ নভেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে স্কুল খোলার একটা লক্ষ্য স্থির হয়েছিল। এখন দেখা যাক, পুজোর মরসুমের পরে করোনা পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে গড়ায়। বিজয়া দশমী থেকে আগামী ১৪ দিন রাজ্যের গ্রাফের দিকে নজর রাখা হবে। তার পরেই হবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।School Reopen West Bengal.

একই মত দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সম্প্রতি তিনিও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে স্বাস্থ্য দফতর। স্কুল খোলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তবে পুজোর আগে মুখ্যমন্ত্রী যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন, তখনই শিক্ষক, অভিভাবক, পড়ুয়াদের একটি বড় অংশ আশায় বুক বেঁধেছিল যে, উৎসবের পরেই খুলবে স্কুল।

এখন করোনার সংক্রমণ ফের বাড়তে থাকায় স্কুল যদি রাজ্য না খোলে, তা হলে সমস্ত দায়ভার চাপতে পারে পুজোর ভিড়ের উপরে।
শিক্ষক, অভিভাবক ও পড়ুয়াদের মধ্যে স্কুল খোলার দাবি অবশ্য ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, পড়ুয়া, অভিবভাবক থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ ও চাইছেন, স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন বা নির্দেশিকা মেনে স্কুল খুলে দেওয়া খুব জরুরি। অন্তত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন অবিলম্বে শুরু না করলেই নয়। যেসব পড়ুয়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল, তারা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাড়িতে পড়লে। যারা বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়া, তারা তো একাদশ ও দ্বাদশ মিলিয়ে এক দিনও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসও করতে পারল না।যা তাদের পরবর্তী উচ্চশিক্ষায় খুবই ক্ষতির কারন হতে পারে।

National Achievement Survey – শিক্ষক ও পড়ুয়াদের কি কি করতে হবে, দেখুন বাংলায়।

Install Our Android News App

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment