পশ্চিমবঙ্গে এবার থেকে প্রতি বছরে শিক্ষক নিয়োগ হবে, বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর, ( WB Primary TET Result Date ) কিন্তু তার আগে বিগত ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার রেজাল্ট ও নিয়োগ এখনো সম্পন্ন হলো না। ২০১৪ সালের নিয়োগ হলেও ননইঙ্কলুডেড প্রার্থীদের দাবী মতো সরকার ও বোর্ড নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। আর এর মধ্যেই রেজাল্ট প্রকাশিত না হওয়ায় কার্যত বিপাকে পড়েছেন ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীরা। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর বিভিন্ন কোর্ট কেস ও ডাই ইন হারনেস প্রার্থীদের পুজোর আগেই নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাস তিনেক আগে পর্ষদ সভাপতি ঘোষণা করেছিলেন পুজোর আগে রেজাল্ট দেওয়া হবে। কিন্তু কার্যত সেই রেজাল্ট এখনো পায়নি প্রার্থীরা।
এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ও টেট এর রেজাল্ট (WB Primary TET Result Date) নিয়ে একাধিক অডিও ভাইরাল হয়। এবং সেই ফোন কল এর কথোপকথন এ স্পষ্টতই বোঝা যায় যে পুজোর আগে রেজাল্ট বেরোবে না। এবং সেই সাথে আরেকটি জল্পনা যুক্ত হয়, যে ২০১৪ সালের রেজাল্ট নিয়ে নতুন করে ভাবছে সরকার। তাহলে কি হবে ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট এর ভবিষ্যৎ?
বিতর্ক থাকতেই পারে, তবে একথা নিশ্চিত যে ২০১৪ সালের বাকি নিয়োগ প্রক্রিয়া আগেই নিস্পত্তি হবে, তারপর ২০১৭ সালের রেজাল্ট প্রকাশিত হবে। ২০১৪ সালে Included এবং Non Included যে দুটি শ্রেণী ভাগ হয়েছে এবং তারপর যে বিতর্ক হয়েছে, তাই ২০১৭ সালের টেট রেজাল্টে সেই বিতর্ক রাখতে চাইছে না সরকার এবং পর্ষদ কেউই। আর সেটিই বার বার উল্লেখ হয়েছে, ভাইরাল হওয়া অডিওতে। তাই ২০১৭ সালের রেজাল্টে Included এবং Non Included না রেখে বরং Qualified এবং Non Qualified এই দুটি ভাগ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। তাই ২০১৪ সালের নিয়োগ বাকিটা সম্পন্ন করেই ২০১৭ এর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই তথ্যগুলোর দ্বিমত অনেকেরই থাকতে পাবে। তবে ভবিষ্যতেই মিলিয়ে দেখলেই সবকিছু পরিস্কার হবে। (WB Primary TET Result Date)
এবার প্রশ্ন হচ্ছে ২০১৪ বা ২০১৭ কোন রেজাল্ট আগে দেবে, এবং কবে দেবে? ২০১৪ এর Non Included প্রার্থীদের নিয়ে আগে ভাবছে পর্ষদ। এবং তার মানে এই নয় যে ২০১৭ সাল নিয়ে ভাবছে না পর্ষদ। তবে টেকনিক্যালি ২০১৪ সালের নিয়োগ নিয়ে Non Included প্রার্থীদের কিভাবে নিয়োগ করা যায়, সেই চিন্তাভাবনা চলছে। ২৫ অক্টোবর সমস্ত অফিস খুলবে, তার এক সপ্তাহের মধ্যেই একটা খবর প্রকাশিত হবে।
অন্যদিকে টেট এর রেজাল্ট নিয়ে স্যোস্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক হচ্ছে এবং ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচী নেওয়ার ডাক দিয়েছেন চাকরী প্রার্থীরা, সেই বিষয়গুলো ও নজরে রাখছে প্রশাসন। তবে আদালতে পূর্বের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই সুষ্ঠুভাবে সবকিছু করতে চাইছে পর্ষদ। পরবর্তী আপডেট ক্রমশ প্রকাশ্য।