করোনা দেশ তথা অর্থনীতির অবস্থা বেহাল করার পাশাপাশি শিক্ষার উপর ও গুরুতর শিক্ষা ব্যাবস্থা ও (Covid Impact on Education)। অতিমারী যেমন কর্মসংস্থান Merge করেছে, সেই সাথে পরিবারের আয় ও কমেছে, আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার ইম্প্যাক্ট শিক্ষায় ও পড়েছে। যার দরুন বেসরকারি স্কুলে ছাত্র কমেছে। শুধু তাই নয়, এই সংখ্যাটা চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো। পড়ুয়ারা যাতে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে পারে তারজন্য ফি কমানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালাও, এরপর সম্প্রতি নির্দেশ দেয় বেতনের অভাবে পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসা থেকে বিরত রাখা যাবে না। কিন্তু তারপর ও সারা দেশে প্রায় অর্ধকোটি পড়ুয়া কার্যত স্কুলছুট। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে নতুন শিক্ষাবর্ষে আগের পড়ুয়াদের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ পড়ুয়া বেসরকারী স্কুলে পুনরায় ভর্তি হয়নি, হয় তারা সরকারী স্কুলে গিয়েছে, নতুবা স্কুল বন্ধ থাকায় ভর্তি হয়নি, নতুবা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে।
গতসপ্তাহে হরিয়ানা রাজ্য সরকার একটি রিপোর্ট পেশ করেছে, যেখানে শুধুমাত্র হরিয়ানার বেসরকারি স্কুলগুলিতেই ৪০ শতাংশ পড়ুয়ারই দেখা নেই। তারা সকলেই স্কুলছুটের দলে শামিল হয়েছে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগে রাজ্য স্কুলশিক্ষা পর্ষদ। অতিমারিতে পঠনপাঠন নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষা পর্ষদে রিপোর্ট জমা দেয় হরিয়ানার বেসরকারি স্কুলগুলি। তাতে দেখা যায়, শিক্ষাবর্ষ ২০২০ তে যেখানে ২৯ লক্ষ ৮৩ হাজার পড়ুয়া নাম নথিভুক্ত করেছিল, এ বছর নাম নথিভুক্ত করেছে মাত্র ১৭ লক্ষ ৩১ হাজার পড়ুয়া। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ পড়ুয়ার খোঁজ নেই।হরিয়ানায় সরকারি স্কুলের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫০০। সেখানে বেসরকারি স্কুল রয়েছে ৮ হাজার ৯০০। অতিমারিতে বেসরকারি স্কুলের খরচ এবং অনলাইন ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির সংস্থান করতে না পেরেই সাড়ে ১২ লক্ষ পড়ুয়া নয়া শিক্ষাবর্ষে নাম নথিভুক্ত করেনি বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি স্কুল ছেড়ে সরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। (Covid Impact on Education)
শুধুমাত্র একটি রাজ্যের রিপোর্ট ই যদি এমন হয় তবে সারা দেশের সংখ্যাটা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে আশার কথা হচ্ছে, যদি পড়ুয়ারা বেসরকারী স্কুল ছেড়ে দেয়, তবে সরকারী স্কুলে কি তারা ভর্তি হল? কিন্তু সেই আশায় ও নিরাশা রয়েছে, সরকারী সূত্রে জানা যাচ্ছে, পড়ুয়া সনহ্যা বেড়েছে তবে সেই হারে নয়।
অন্যদিকে ইউনেস্কোর আরেকটি পরিসংখ্যান বলছে সারা দেশে সরকারী স্কুলে প্রায় ১১ লক্ষ শিক্ষক ঘাটতি রয়েছে, সেখানে যদি ধরে নেওয়াই যায় ওই ৫০ লক্ষ পড়ুয়া যদি সরকারী স্কুলে ভর্তি হয়, তবে সেই সংখ্যক পড়ুয়া পড়ানোর মতো পরিকাঠামো কিম্বা শিক্ষক পর্যাপ্ত আছে তো? এবার নিয়মিত স্কুল খুললেই সঠিক সংখ্যাটা জানা যাবে।