আসি যাই মাইনে পাই, অপবাদ আগেই ছিল (WB School Teacher)। এবার তার সাথে যোগ হল নতুন পালক। তাও আবার রাজ্যের নব নিযুক্ত মন্ত্রীর মুখ থেকে। সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনা (Corona) অতিমারির সময়ে শিক্ষকরা ঘরে বসে প্রতি মাসের বেতন নিয়েছেন, নিজের পরিবারের জন্য নিয়মিত বাজার করেছেন। কিন্তু সেই সময় দুঃস্থ মানুষের পাশে সেভাবে দাঁড়াননি শিক্ষকরা। মন্তব্য রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath) এর।
সংবাদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত শুক্রবার কাটোয়ার রবীন্দ্র পরিষদে দুয়ারে শিক্ষক শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, শিক্ষকরা মাটির দুর্গাকে প্রণাম করেন, পুষ্পাঞ্জলি দেন। কিন্তু নিজের বাড়িতে মাকে অভুক্ত রাখেন। প্রত্যেক শিক্ষকের বোঝা উচিত বাড়িতে বসে থাকা, জ্যান্ত মা কেন অভুক্ত থাকবেন, কেন অনাদরে পড়ে থাকবেন? নিজের মাকে অনাদরে রাখার সংখ্যা কম নয়। দুর্গামাকে প্রণাম করুন, কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু গর্ভধারিণী মাকে যেন অভুক্ত রাখবেন না। জ্যান্ত মাকে হাসিখুশি রাখুন। এছাড়াও অতিমারীর আবহে সাহায্য করা নিয়েও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন স্বপন বাবু। (WB School Teacher)
এদিন স্বপনবাবু মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদস্যদের কাছে প্রস্তাব রেখে বলেন, জেলায় প্রায় আট হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন। তাঁদের প্রত্যেক সদস্য যদি দুটো করে দুঃস্থ শিশুর জামা প্যান্ট কিনে দেন তাহলে অনেক শিশু পুজোয় নতুন জামা পরতে পারবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষকগণ মন্ত্রীর কথা সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও মন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। (WB School Teacher)
আরও পড়ুন পুজোর মাসে শিক্ষকদের দেওয়া হলো জোড়া দায়িত্ব
গত বছর মার্চ এর মাঝামাঝি থেকে দেড় বছর হতে চলল স্কুল খোলেনি রাজ্যে। আর সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপণ দেবনাথ। শিক্ষকদের কুটিক্তি করে তাঁর মন্তব্য, বাড়িতে বসে বসে বেতন নেন, অসহায়দের পাশে দাঁড়ান রাজ্যের না শিক্ষকরা! (WB School Teacher)
প্রসঙ্গত করোনা আবহের শুরুতে যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারাচ্ছেন তখন রাজ্যের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় সবকটি শিক্ষক সংগঠন পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সাধারন মানুষের। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলেও টাকা দিয়েছিল এই সংগঠন গুলো। তবে শিক্ষকদের নিয়ে কেন এই কটাক্ষ? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। এদিন রাজ্যের এক শিক্ষক সংগঠনের নেতা বলেন, শিক্ষকেরা অনুদান কিম্বা সাহায্য বিজ্ঞাপন দিয়ে করে না, তাদের ভোটে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। শিক্ষকেরা নিরবেই সাহায্য করতে বেশি পছন্দ করে। (WB School Teacher)