দাবী ছিল জোরালো, প্রত্যাশা ছিল অসীম, একজোটে নিজেদের দাবী পুরনে দল মত নির্বিশেষে ঝাপিয়ে পড়েছিল কয়েক লক্ষ শিক্ষক। পিআরটি মেলেনি, তবে মিলেছিল কিছুতা।কিন্তু তাতেও ভুল থাকার অভিযোগ ছিল। সিনিয়র জুনিয়র বেতন এক হয়ে গেছিল। অন্যদিকে বার বার আদালতের দ্বারে আবেদন করে একটা ভালো জায়গায় মামলাটা দাঁড়িয়েছিলো। আর তারপর করোনা সব কিছুকে থামিয়ে দিলো। আবার যখন বিদ্রোহের আগুন নতুন করে ধীরে ধীরে আন্দোলনে রূপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, আর অন্যদিকে পুরনো মামলাটি আবার গতি আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিলো, ঠিক তখনই যার বিরুদ্ধে মামলা, তার যবনিকা পতন হয়ে গেল। প্রথমটি হচ্ছে প্রাইমারী টিচার নোশনাল ইফেক্ট, দ্বিতীয় টি হচ্ছে গ্রাজুয়েট টিচার স্কেল, আর যার বিরুদ্ধে মামলা, কিম্বা আন্দোলন সেটা হচ্ছে পে কমিশন। আর গতকাল সেই পে কমিশন কেই তুলে দেওয়া হলো।
গতকাল বিকাশভবনে অবস্থিত পে কমিশনের দপ্তরে কার্যত তালা পড়ে গেল। দীর্ঘ ৫ বছরের কার্যকাল আপাতত সমাপ্তির পথে। এবার আর যা হবে ৭ম বেতন কমিশন বসলে।
অর্থাৎ কার্যত সমস্ত আশায় জল ঢেলে গেল। এবার কার্যত আর যা হবে পরের পে কমিশন বসলে। সেক্ষেত্রে ডিএ মামলা বলুন, টিচার স্কেল বলুন, কিম্বা বেতন সংক্রান্ত অন্যন্য দাবি যাই হোক, কার্যত আর কিছু হবে না। এ প্রসঙ্গে শিক্ষকদের এক মহল মনে করছেন, রোপা পার্ট ২, বেরোবে, তখন কিছু রেকটিফাই হবে, এই খবর ছড়িয়ে সব কিছু ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। ক্যাডার ভিত্তিক আলাদা অর্ডার বেরোবে, এগুলো কিচ্ছুই না। আন্দোলনকে স্তমিত করার চেষ্টা, এবং পূর্ব পরিকল্পিত।
তাহলে কি ডিএ মামলা, কিম্বা অন্যান্য মামলা, সব এখন বিশ বাও জলে? আপনার কি মনে হয়, কমেন্ট করে জানাবেন।