শিক্ষক নিয়োগ (WB School Teacher Recruitment) নিয়ে বিতর্ক যেন ছাড়ছেই না। তবে এবার ততপর হল রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC). আদালত অবমাননার নোটিস যেতেই নড়ে চড়ে বসল স্কুল সার্ভিস কমিশন। মামলাকারীদের শিক্ষকপদে দেওয়া হল নিয়োগপত্র। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণির জন্য ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয় এসএসসি। ওই বছরেই নেওয়া পরীক্ষার উত্তরপত্রে ভুল থাকার অভিযোগে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
আদালত চাকরি প্রার্থীদের দিকে রায় দেয়। যদিও নিয়োগে অনীহা দেখায় কমিশন। এরপর আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে কমিশনের বিরুদ্ধে। সেই মামলার নোটিস যাওয়ার পরেই কমিশন মামলাকারীদের নিয়োগপত্র পাঠিয়েছে বলে মঙ্গলবার মামলাকারীদের তরফে জানানো হয়েছে। তাই আপাতত স্বস্তিতে চাকরি প্রার্থীরা। এই বিষয়ে পাঁচ মামলাকারীর আইনজীবী আশিস চৌধুরী ইতিহাসেরই বেশকিছু পাঠ্যবইয়ের বয়ান উল্লেখ করে আদালতে দাবি করেছিলেন, কমিশন একটি প্রশ্নের উত্তর হিসেবে যা বলছে, সেটি আদৌ ঠিক নয়। কমিশনও শুনানিতে মেনে নেয়, অভিযোগ সঠিক।
সেই সূত্রে বিচারপতি শেখর ববি শরাফ নির্দেশ দেন, ওই প্রশ্নের জন্য মামলাকারীদের প্রাপ্য নম্বর দিতে হবে। যদি সেই নম্বর প্রাপ্তির কারণে তাঁরা যোগ্যতামান অর্জন করেন, তাহলে তাঁদের নিয়োগপত্র দিতে হবে। যদিও সেই নির্দেশের পর চারমাস পেরিয়ে গেলেও স্কুল সার্ভিস কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এরপরে আদালত অবমাননার মামলা হয় কমিশনের বিরুদ্ধে।
এই মামলার নোটিস কমিশনে পাঠানোর পরই মামলাকারীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। পরে তা দেওয়া হয়েছে বলে ওই আইনজীবী জানিয়েছেন। কিছুদিন আগে প্রাথমিকে শিক্ষকপদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও আদালত অবমাননার মামলার ক্ষেত্রে আবেদনকারী চাকরি প্রার্থীকে নিয়োগপ্রাপ্ত দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার একই রকম পদক্ষেপ নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।