এযেন উপ নির্বাচন নয়। ভোট ঘোষণার আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচনের মতো ঝাঁজ। যার প্রধান কারণ নিঃসন্দেহে মমতা ব্যানার্জি ও ভবানীপুর। আর তাঁর মধ্যেই এল বড় খবর। ভবানীপুরের ভোটার হলেন প্রশান্ত কিশোর। হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর এই উপনির্বাচন থেকে ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার। ২০২১ নির্বাচনের আগে ২০১৯ সালে যে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আশাতীত সাফল্য পায় বিজেপি। রাজ্য থেকে ১৮ টি লোকসভা আসন জিতে টগবগ করে ফুটছিল বিজেপি।
গেরুয়া ঝড়ের দাপটে ১৯ এ হাফ আর ২১ এ সাফ এই স্লোগান সামনে রেখে রাজ্য জয়ের লক্ষ্যে দৌড় দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু তখনই সামনে আসেন প্রশান্ত কিশোর। বিজেপির যাবতীয় আশা বা প্রত্যাশায় জল ঢেলে তৃণমূল কে কার্যত ক্লিন স্যুইপ দেন বিধানসভা নির্বাচনে। তাঁর ভোট কৌশল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্র্যাণ্ড ভ্যালুর সাথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার বিজেপির যাবতীয় স্বপ্নে জল ঢেলে দেয়।
সেই ভোট কুশলী এবার পাকাপাকি ঠিকানা নিচ্ছেন কলকাতায়? কারন ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার লিস্টে তাঁর নাম উঠেছে সম্প্রতি। ভবানীপুরের ২২২ নম্বর পার্ট নম্বরের ভোটার হলেন তিনি। সেন্ট হেলেন স্কুলের ভোটকেন্দ্রে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের নাম। সূত্রের খবর, জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে পিকে এর।
পিকের ভোটার সিরিয়াল নম্বর রয়েছে ৯০৫। ভোটার তালিকায় প্রশান্ত কিশোরের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৪৪ বছর এবং তাঁর বাবার নাম শ্রীকান্ত পাণ্ডের নামও উল্লেখ করা হয়েছে ওই তালিকায়। বিষয়টি নিয়ে এই মুহুর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে প্রশান কিশোর আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে সামাজিক মাধ্যম গুলোতে।
তবে কি ভবিষ্যতে বাংলার রাজনীতির সঙ্গে গাঁটছটা বাঁধার ইচ্ছে রয়েছে তার? সামনে পুরসভা নির্বাচন, তারপর লোকসভা। নাকি 2023 এ মমতাকে দিল্লি জয়ে পোক্ত করতে আগেভাগেই বাংলায় অবস্থান নিলেন। সেকথা তো সময় বলবে। আপনার কি মনে হয় কমেন্ট করে জানাবেন।