নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা চালু হয়ে গেল। কি কি পরিবর্তন হলো জেনে নিন

অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত Pass-Fail System তথা পাশ ফেল তুলে দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে লাটে উঠেছিলো, তা কার্যত স্বীকার করলো কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। নতুন শিক্ষানীতি তথা National Education Policy তে এবার ফিরছে পাশ ফেল প্রথা। অর্থাৎ পরীক্ষায় ফেল করলে আর পরের ক্লাসে উত্তীর্ণ হবে না। ঠিক কি কি পরিবর্তন হলো জেনে নিন।

Pass-fail System to return back in Bengal Schools

ফের লাগু হতে চলেছে পাস-ফেল প্রথা। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক কারিকুলামের পুরনো নিয়ম আবার হচ্ছে চালু। এমনটাই খবর মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে। ২০০৯ সালে ভারত সরকার Right to Education (RTE) বা শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় একটি নিয়ম চালু করেছিল, যেখানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ফাইনাল পরীক্ষায় পাস-ফেল বলে কিছু থাকত না। নম্বর কম পেলেও ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া হত। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চালু থাকা এই নিয়মকে এবার বদলে নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করতে চলেছে জাতীয় শিক্ষামন্ত্রক।

নতুন নিয়মের মূল বিষয়বস্তু

১. বার্ষিক পরীক্ষায় পাশ করতে হবে: পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অপরিহার্য করা হয়েছে।
২. ফেল করলে দ্বিতীয় সুযোগ: পরীক্ষায় ফেল করলে ছাত্রছাত্রীরা দুই মাসের মধ্যে পুনরায় পরীক্ষার সুযোগ পাবে।
৩. পুনর্বার পড়ার ব্যবস্থা: দ্বিতীয়বার পরীক্ষায়ও ফেল করলে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীকে একই শ্রেণিতে পুনরায় পড়তে হবে।
৪. ফেল করলেও স্কুল থেকে বহিষ্কার নয়: পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও কোনও ছাত্রছাত্রীকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা যাবে না।

পাশ ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনার কারন

কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, পাশ-ফেল প্রথার পুনঃপ্রবর্তনের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার প্রতি বেশি মনোযোগী হবে। নম্বর কম পেলেও পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত হওয়ার অভ্যাসে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিতে পারছিল না। এখন নতুন নিয়ম চালু হলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও মনোযোগী হবে।

আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গে চালু হলো অভয়া স্কলারশিপ। যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি ও বৃত্তির পরিমাণ জেনে নিন

শিক্ষাবিদদের মতামত

শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন, পাস-ফেল প্রথা ফিরিয়ে আনা একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। এতে শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব হবে। পরীক্ষা হল ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান যাচাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপায়। ফেল করার নিয়ম থাকলে ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি দায়িত্বশীল হবে এবং তাদের দুর্বল জায়গাগুলি চিহ্নিত করে তা সংশোধন করতে পারবে। তবে এর পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে তারা ছাত্রছাত্রীদের উন্নতিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিক্ষকদের একাংশের মত, আগের মতো শাসনের অধিকারটা যদি পাশ ফেলের মতো শিক্ষকদের ফিরিয়ে দেওয়া হতো, তাহলে ছাত্র ছাত্রীদের জন্য আরও মঙ্গলজনক হতো!

আরও পড়ুন, জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা। এইমাত্র আপডেট এলো।

রাজ্যগুলির ভূমিকা

পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য রাজ্য এখনও এই নতুন নিয়ম গ্রহণ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকেও তাদের শিক্ষানীতিতে (Education Policy) পরিবর্তন আনতে হতে পারে। যদি পশ্চিমবঙ্গ এই নিয়ম গ্রহণ করে, তবে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরবর্তী আপডেট পেতে EK24 News ফলো করুন।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!