২০২৪ সালের বাংলা আবাস যোজনা তথা Bangla Awas Yojana প্রকল্পে (PMAY) নতুন একটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে সরকারের উদ্দেশ্য হল প্রকল্পের সুবিধা সঠিক উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং ভুল ত্রুটি বা বিতর্ক রোধ করা। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবার ইউনিক আইডি (সুনির্দিষ্ট নম্বর) পদ্ধতি চালু করেছে, যার মাধ্যমে প্রতিটি উপভোক্তার জন্য একটি আলাদা ইউনিক আইডি তৈরি করা হবে। এই ইউনিক আইডির মাধ্যমে সরাসরি উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠানো হবে, ফলে অন্য একাউন্টে ভুল করে টাকা চলে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
West Bengal Bangla awas yojana Banglar Bari New List 2024
কেন এই পদক্ষেপ?
সম্প্রতি আবাস প্রকল্পের টাকা (Bangla Awas Yojana) বরাদ্দ নিয়ে কিছু বিতর্ক উঠেছিল, যার মধ্যে টাকার ভুল অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া এবং বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছিল। এই সমস্ত সমস্যা দূর করতে রাজ্য সরকার নতুন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ইউনিক আইডি ব্যবস্থা চালু করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এমন কোনও ভুল ঘটবে না এবং প্রকল্পের সুবিধা সঠিক উপভোক্তার কাছে পৌঁছাবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, চলতি মাসের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের বাংলার বাড়ি খাতে অর্থ বরাদ্দ শুরু হবে। এই সময়ে, রাজ্যের প্রতিটি জেলা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ শিবির (Bangla Awas Yojana Camp) অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই করা হবে এবং ইউনিক আইডি প্রদান করা হবে।
কিভাবে সম্পন্ন হবে প্রক্রিয়া?
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক পর্যায়ে শিবিরগুলির মাধ্যমে এই পুরো প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। শিবিরে উপভোক্তাদের আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবুক এবং আধার-সংযুক্ত মোবাইল নম্বর জমা দিতে হবে। OTP এবং বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমে উপভোক্তাদের তথ্য নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া, যারা আধার সংযুক্ত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন না, তাদের জন্য বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের মাধ্যমেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন, লাখ লাখ রেশন কার্ড বাতিল হচ্ছে। এই নিয়ম না মানলে বিনামূল্যে রেশন পাবেন না। কি কি করতে হবে?
পুলিশ বিভাগের ভূমিকা
এই প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠু এবং নিরাপদভাবে পরিচালনা করতে রাজ্য পুলিশ বিশেষ নজরদারি চালাবে। শিবিরগুলিতে কোনও বিশৃঙ্খলা বা অবাঞ্ছিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্য পুলিশকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক বরাদ্দ এবং উপভোক্তার সংখ্যা
২০২৪ সালে আবাস প্রকল্পের উপভোক্তাদের সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। প্রথম কিস্তিতে প্রতি উপভোক্তাকে ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে, এবং এই অর্থের মোট পরিমাণ হবে ৭,২০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় কিস্তিতেও একই পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন, রাজ্যে সকল শিশুদের জন্য চালু হলো এক নতুন স্কিম! সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন
SMS মাধ্যমে জানানো হবে সুবিধা
যারা বাংলা আবাস যোজনা ফাইনাল লিস্টে অন্তর্ভুক্ত হবেন, তাদের একটি SMS পাঠানো হবে, যার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে যে তারা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এই SMS ১৩ই ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলার বাড়ি প্রাপকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা। যদি কোনও ব্যক্তি SMS না পান, তবে তাকে তার পঞ্চায়েত বা বিডিও অফিসে গিয়ে নাম চেক করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে মনে রাখবেন, যারা যোগ্য তারা বাড়ি বানানোর টাকা অবশ্যই পাবেন।
Written by Nabadip Saha.