উৎসশ্রী পোর্টাল (Utsashree Portal) বা Online Teachers Transfer Portal উদ্বোধনের দিনই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেন, এক মাসের মধ্যে সব খতিয়ে দেখে ট্রান্সফার অর্ডার ইস্যু হবে। প্রধান শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষ কাউকে জোর করে আটকে রাখতে পারবেন না। কিন্তু কার্যত সেই কথা অমান্য করে NOC সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে বার বার হয়রানি হতে হচ্ছিল শিক্ষকদের। বহু শিক্ষক অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে স্কুল এনওসি (NOC) দিচ্ছে না, পোর্টালে ঠিকমতো আপডেট হচ্ছেনা ইত্যাদি। এছাড়া আরও একাধিক সমস্যা তো ছিলই। যার দরুন বঙ্গীয় শিক্ষক শিক্ষাকর্মী সমিতি সহ একাধিক সংগঠন বার বার শিক্ষাদপ্তর, বোর্ড, কাউন্সিল প্রভৃতি অফিসে এই করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক দাবিপত্র, পরামর্শ পেশ করেন। টনক নড়ে আধিকারিকদের। এবার কার্যত শিক্ষামন্ত্রীর সেই বক্তব্য অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হল।
এদিন বদলি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য কাগজে কলমে কার্যত শিলমোহর দিল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত জেলা স্কুল পরিদর্শককে (DI) পাঠানো হয়েছে। এদিকে উৎসশ্রী পোর্টালে শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বদলির আবেদন জানাচ্ছেন শিক্ষাকর্মীরাও। সবার জন্যেই সমাধান সন্ধান করেছে রাজ্য সরকার। নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা সাসপেন্ড থাকলে আবেদন করতে পারবেন না। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কোনরকম কেস থাকলে বা বিভাগীয় তদন্ত চালু থাকলেও তিনি বদলি পাবেন না। মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে আবেদন করলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন লাগবে। ৪০ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধকতা থাকলে রিনিউ করা প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করতে হবে। এছাড়া জটিল অসুখ ও বিবাহ বিচ্ছেদ সঙ্ক্রান্ত কারন এবার থেকে গ্রাহ্য হবে। তবে শিক্ষকদের যে ৫ বছরের নুন্যতম চাকরীর বয়স দেওয়া হয়েছে, এই নিয়ে একাধিক বার শিক্ষকেরা আবেদন জানান। শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী মুলত যে কারনে শিক্ষকদের বাড়ির কাছে আনতে চাইছেন, সেখানে ৫ বছর কিম্বা ৭ বছরের কোটা বেধে দেওয়া কার্যত, সেই নীতি কিম্বা মুখ্যমন্ত্রীর স্বদিচ্ছাকে কার্যত খর্ব করার সামীল।
শিক্ষাদপ্তর সুত্রে জানা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে কর্মরত সিঙ্গেল টিচারদের জন্য শিক্ষক বদলি নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের। এখন থেকে কোন সিঙ্গেল টিচার ট্রান্সফার নিতে চাইলে সেই আবেদনে মঞ্জুরি দিতে হবে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতি কে। নতুন নিয়মে সিঙ্গেল টিচারদের আর আটকে রাখতে পারবেন না কেউ। তবে তার পরিবর্ত খোজার পরই তার আবেদন গ্রাহ্য হবে। তবে সেটি খুবই দ্রুততার সাথে করা হবে। তবেকি পুজোর আগে বদলি পাবেন সকল শিক্ষকেরা? জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই অনেকটা গুছিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবং আগামী সোমবার আরও একটি খবর প্রকাশিত হবে। সঙ্গে থাকুন। আমাদের আরও খবর পেতে ইন্সটল করতে পারেন আমাদের Android App Click Here