Income Tax Return – ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন জমা করলেই, একাউন্টে টাকা ঢুকবে। সঠিক নিয়ম জেনে নিন

ইনকাম ট্যাক্স ফাইল বা Income Tax Return করেছেন? অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা। তবে তার আগে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত। আয়করের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
সাধারণত প্রত্যেক আয়কর দাতারই ট্যাক্স জমা করার পর রিফান্ডের টাকা (Income Tax Refund) আসে অ্যাকাউন্টে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে অনেকেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করার পরও রিফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

এই সমস্যা বেশিরভাগ সময় কিছু সাধারণ ভুলের কারণে ঘটে। এমনকি কিছু ছোটখাটো ভুলও আয়কর রিফান্ড পাওয়াকে জটিল করে তুলতে পারে। তাই আপনি যদি সুষ্ঠুভাবে নিজের আয়করের রিফান্ড পেতে চান, তাহলে অবিলম্বে চেক করে নিন এই ভুলগুলো আপনার ক্ষেত্রে হচ্ছে নাকি।

Benefits of Income Tax Return to get TDS refund

কারা আয়কর রিফান্ডের প্রাপ্য

নিয়োগকর্তা বা যিনি পেমেন্ট করছেন, যদি করদাতার আয় থেকে TDS (ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স) কেটে জমা করেন এবং তা করদাতার মোট করের চেয়ে বেশি হয়, বা করদাতা যদি অগ্রিম কর প্রদান করে থাকেন, তাহলে তিনি আয়কর রিফান্ডের প্রাপ্য হন। আইটিআর (ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন) ফাইল করার সময় এই রিফান্ড দাবি করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইটিআর দাখিল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরপর আয়কর বিভাগ আইটিআর যাচাই করে এবং রিফান্ড প্রক্রিয়া শুরু করে। রিফান্ড ইলেকট্রনিক ক্লিয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে করদাতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

এছাড়া যাদের সেভিংস একাউন্টে অনেক টাকা আছে এবং সেই সুদ ১০০০০ টাকার বেশি হলে TDS কাটে, এবং Fixed Deposit, Term Deposit, MIS প্রভৃতি একাউন্ট থেকে প্রাপ্ত সুদের উপর ট্যাক্স কাটে, এবার আপনার যদি আয় আয়কর সীমার মধ্যে থাকে তবে Income Tax Return ফাইল করার সময়ে সেই TDS এর টাকার পরিমান দেখা যায়, এবং Benefits of Income Tax Return ফাইল করার কয়েকদিনের মধ্যেই সেই টাকা একাউন্টে ফিরে আসে। কিন্তু আপনি যদি Form 60 বা 15G/ 15H জমা না করে থাকেন তবে সেই টাকা ফেরত পাওয়া যায়না। সুতরাং নিজের সুবিধার জন্য এই ট্যাক্স ফাইল করা জরুরী।

কোন কোন ভুলে বাতিল হয় আয়কর রিফান্ড?

১. করদাতার প্যান কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নামের গরমিল বা বানানের ভুল রিফান্ড আটকে যাওয়ার একটি সাধারণ কারণ।
২. এছাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের IFSC কোড সঠিকভাবে উল্লেখ না করলে রিফান্ড প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় না।
৩. এ ধরনের ভুল করদাতার নজরে না আসতে পারে, এবং রিটার্ন দাখিলের সময় সমস্যা না হলেও রিফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি বড় সমস্যা তৈরি করে। তাই রিটার্ন দাখিলের আগেই এই ভুলগুলো সংশোধন করা প্রয়োজন।

রিটার্ন দাখিলের আগে করণীয়

১. রিটার্ন দাখিলের আগে করদাতাদের উচিত প্যান কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নাম এবং অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করা। যদি কোনো গরমিল থাকে, তাহলে তা তৎক্ষণাৎ সংশোধন করতে হবে।
২. এছাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে প্যান লিঙ্ক করানো আছে কিনা তাও যাচাই করা উচিত। রিটার্ন দাখিলের পরেও এই সংশোধন করা সম্ভব, তবে আগেভাগেই সতর্ক থাকলে ভালো।

আরও পড়ুন, ইনকাম কম হলেও ট্যাক্স ফাইল করলে পাবেন ৫ টি বিশেষ সুবিধা। 

রিফান্ডের প্রক্রিয়া

রিফান্ড পাওয়ার জন্য Income Tax Return দাখিলের সময় করদাতাকে রিফান্ডের দাবি করতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইটিআর দাখিলের পর আয়কর বিভাগ আইটিআর যাচাই করে এবং রিফান্ড প্রক্রিয়া শুরু করে। রিফান্ড ইলেকট্রনিক ক্লিয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে করদাতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

আরও পড়ুন, কিষাণ বিকাশ পত্র ও NSC এর টাকা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। পোস্ট অফিস গ্রাহকদের চিন্তা বাড়লো।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস

১. রিটার্ন দাখিলের আগে প্যান কার্ড এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নাম ও ঠিকানা যাচাই করা উচিত।
২. করদাতার ইমেল এবং মোবাইল নম্বর সঠিকভাবে আপডেট করা থাকতে হবে।
৩. রিফান্ডের আবেদন সঠিক পদ্ধতিতে এবং সময়মতো করা উচিত।
এসব পদক্ষেপ অনুসরণ করলে করদাতারা সহজেই আয়কর রিফান্ড পেতে পারেন এবং যেকোনো সমস্যা এড়িয়ে চলতে পারেন।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment