গরমের ছুটির জেরে সিলেবাস (Syllabus) এর ক্ষতি আটকাতে Extra Class নেওয়ার সিদ্ধান্ত। যার জেরে কার্যত রোব বার ও খোলা থাকছে একাধিক স্কুল।
তীব্র গরমের জেরে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর গরমের ছুটি (Summer Vacation) অনেক আগেই ঘোষণা হয়েছে। ৬ মে তা দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে দেওয়া হয়েছে ২২ এপ্রিল থেকেই। এরপর থেকে টানা দেড় মাস ধরে বন্ধ ছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এই সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠনে ক্ষতি হয়েছে অনেক। অবশেষে কথা মতোই গত ১০ ই জুন থেকে পুনরায় ক্লাস শুরু করা হয়েছে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।
পশ্চিমবঙ্গের একাধিক স্কুল রোববার ও খোলা
সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস হলে একটা দিন অন্তত ছুটি পেত পড়ুয়ারা। কিন্তু এবার দীর্ঘকালীন গরমের ছুটির কারনে সিলেবাস শেষ করতে অতিরিক্ত ক্লাস (Extra Class) করার সিদ্ধান্ত। রবিবার আর থাকবে না স্কুলে ক্লাস বন্ধ। নিয়মিতভাবেই পড়াশোনা করতে যেতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। জানানো হয়েছে, পঠনপাঠনে যাতে ক্ষতি না হয় এবং সিলেবাস যাতে দ্রুত শেষ হয়, সেই কারণেই এই বিশেষ উদ্যোগ। কিন্তু এতে কতটা খুশি হবে স্কুল পড়ুয়ারা?
কিন্তু এতেও দেখা যাচ্ছে অন্য সমস্যা। আসলে গরমের ছুটি কাটলেও গরম কমেনি রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে আসতে অসুবিধা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। অনেকেই আবার স্কুলে পৌঁছে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যে কারণে পূর্ণ সময় ধরে ক্লাস করানো যাচ্ছে না। আবার কিছু কিছু স্কুলে ইতিমধ্যেই পুনরায় মর্নিং ক্লাস করানো চালু হয়েছে।
কিন্তু এভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সামনেই তাদের সেকেন্ড ইউনিট টেস্ট পরীক্ষা। এই মুহূর্তে যদি ঠিকঠাকভাবে পড়াশোনা না হয় তবে সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে না। পরীক্ষায় নম্বর খারাপ হবে ছাত্রছাত্রীদের।
সেই কথা চিন্তা করেই এবার স্কুল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিল রবিবার বিশেষ ক্লাস চালু করার। সিউড়ি ১ ব্লকের কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল হাইস্কুলে প্রতি সপ্তাহে রবিবার সকালে এমন স্পেশাল ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরা। গরমের ছুটি কাটিয়ে স্কুল খোলার পর ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন শিক্ষকরা। তাতে সকলের সম্মতি মেলায় প্রতি রবিবার ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে এই ধরনের ক্লাস করানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে শুধু রবিবার নয়, সুযোগ পেলে অন্যান্য ছুটির দিনগুলোতেও বিশেষ ক্লাস করাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
ইতিমধ্যেই এক রবিবার ক্লাস করানো হয়েছে। স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা নবম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিয়ে অঙ্ক, বাংলা ও ভূগোলের ক্লাস করিয়েছেন সেদিন। প্রথম দিনেই ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ও তাদের তরফ থেকে পড়াশোনার আগ্রহ দেখে খুশি হয়েছেন শিক্ষকরা। সেই কারণে স্কুল আগামী দিনেও এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে।
Written by Nabadip Saha.