School Teacher – পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষকদের মাথায় হাত! প্রাইমারী ও হাইস্কুলের সমস্ত শিক্ষককে আদালতের কড়া নির্দেশ।

পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) জন্য এবার কড়া নির্দেশ। ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (WBSSC) নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের জের কাটেনি এখনো রাজ্যে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল হওয়ার পর মামলা উঠেছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India). আদালতকে বলা হয়েছে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করতে।

High Court Order on Private Tuition of West Bengal School Teacher.

যাই হোক আগামী জুন মাসে সে বিচার করবে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু এরই মাঝে স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) নিয়ে আবারো আশঙ্কায় ভুগছে গোটা রাজ্য। হাইকোর্টের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) সমস্ত শিক্ষকদের জন্য এলো ফের কড়া নির্দেশ। না মানলে হতে পারে কড়া শাস্তি, স্পষ্ট জানিয়ে দিল কোর্ট। কি কারনে এই হুঁশিয়ারি? কাদেরকে সাবধান করলো আদালত? জেনে নেব।

স্কুল শিক্ষকদের জন্য হাইকোর্টের রায়

স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition) পড়ানো নিয়ে বিতর্ক চলছে বিগত অনেক বছর ধরেই। বহুবার শিক্ষকদের (School Teacher) সতর্ক করা হয়েছে। এই নিয়ে বহুবার মামলাও উঠেছে আদালতে। কিন্তু তবুও নির্দেশ অমান্য করে রমরমিয়ে চলেছে প্রাইভেট টিউশন পড়ানো। প্রাইভেট টিউশন বন্ধের জন্য সরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের বিরুদ্ধে বিশেষ নিয়ম ও জারি করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE). কিন্তু তারপরেও নিয়মের অন্যথা চলেছে।

শিক্ষকদের টিউশন পড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা

এমনকি ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার ভয় দেখিয়েও টিউশন করিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তাই এই দুর্নীতিকে খাড়া করে ২০২১ সালে রাজ্য গৃহ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস ফের হাইকোর্টে মামলা করেন। যার শুনানি ঘোষণা করা হয় 2023 এর পহেলা মে তারিখে। এই শুনানির পর আদালত মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিল স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) প্রাইভেট টিউশন নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার।

তিন মাসের মধ্যেই তার রিপোর্টও জমা করতে বলে আদালত। সেই অনুযায়ী পর্ষদ থেকে প্রথমে প্রধান শিক্ষক এবং তারপর স্কুল শিক্ষকদের (School Teacher) কাছে পৌঁছায় প্রাইভেট টিউশন বন্ধের চিঠি। কিন্তু সেই নির্দেশকেও অমান্য করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। সেই কারণে গত ডিসেম্বর মাসে এই সব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে Contempt of Court এর চার্জ আনে হাইকোর্ট।

6th Pay Commission (পশ্চিমবঙ্গে বেতন কমিশন)

প্রাইভেট টিউশন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ

বিষয়টি আসে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এর কাছে। তাদের তরফ থেকে রায় দেওয়া হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্তরের স্কুল পরিদর্শক কে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার এবং ৮ সপ্তাহের মধ্যে তার রিপোর্ট কোর্টে দেওয়ার। সম্প্রতি এই রিপোর্ট জমা পড়েছে আদালতে এবং তার উপর ভিত্তি করেই আদালত জানিয়েছে, “যে কয়েকটি জেলার স্কুল পরিদশর্করা রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে কোথাও প্রাইভেট টিউশন করেন, এমন কোনও স্কুল শিক্ষকের (School Teacher) ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই।

সরকারি কর্মীদের টাকার দরকার হলে PF Account থেকে কিভাবে টাকা তুলবেন? EPFO এর নিয়ম জেনে নিন

এমনকি এই বিষয়ে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পষর্দও মেনে নেয় যে গত এক বছরে নয়টি জেলার স্কুল পরিদর্শক এই ব্যাপারে কাজ করলেও তাঁরা প্রাইভেট টিউশন সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাননি। তাই আপাতত এই দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। সেই কারণে মামলাটি Dismiss করে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এও জানানো হয়েছে যদি এরপরেও আর কোন School Teacher কে প্রাইভেট টিউশন পড়াতে দেখা যায় তখন আরো কঠিন সাজা হবে তার।
Written by Nabadip Saha.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment