School Timing – পশ্চিমবঙ্গের স্কুলে ছুটির নিয়ম বদল। ইচ্ছে মত ছুটি নিতে পারবে শিক্ষকরা।

পশ্চিমবঙ্গের স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য দারুন সুখবর। স্কুলে ছুটির (School Timing) নিয়ে রাজ্যে জারি হল নতুন নিয়ম। যার কারণে এবার থেকে বিরাট সুবিধা হল শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী, এমনকি ছাত্র ছাত্রীদের। কি জানা যাচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্লাস থেকে ছুটি নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী, এতদিন পর্যন্ত স্কুল ছুটি হতো বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ।

West Bengal School Timing Change For Ramzan Month.

তার আগে কোন শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্লাস ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি থাকতো না। কিন্তু এবার সেই সিদ্ধান্ত বদলে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীরা যদি চান এখন থেকে তাহলে নির্ধারিত সময়ের আগেই ছুটি (School Timing) নিয়ে বেরোতে পারবেন স্কুল থেকে। এই বিষয়টি নিয়ে নবান্নের (Nabanna) কাছে অনুমোদন চেয়ে পাঠিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কয়েক দিন আগে।

অবশেষে ইতিবাচক সম্মতি পাওয়া গেল নবান্নের তরফ থেকে। আর তারপরেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু কি কারণে এই নতুন নিয়ম জারি? কেন এই সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার স্কুল শিক্ষকদের?
আগামী মে মাসে মুসলিমদের ইদলফেতর। তার আগে এখন চলছে রমজানের মাস। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এই সময়ে যে সমস্ত টিচার, শিক্ষাকর্মী এবং ছাত্র ছাত্রীরা মুসলিম সম্প্রদায় থেকে স্কুলে আসছেন, দেরিতে ছুটি (School Timing) হলে তাদের অসুবিধা হবে।

Ishan Uday Scholarship (ঈশান উদয় স্কলারশিপ)

কারণ দিনের বেলায় গোটা সময়টা জুড়েই উপোস থাকতে হচ্ছে তাদের। সোজা রাত্রে ইফতারির পর খাওয়া। তাও আবার সামান্য ফল জল। এই পরিস্থিতিতে যদি শুধু শুধু তাদের স্কুলে আটকে রাখা হয়, তবে বাড়ি ফিরে তারা অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। এমনকি শারীরিক অসুস্থতাও হতে পারে তাদের। তাই যে সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী এবং ছাত্র ছাত্রীরা চাইবেন তারা ৩:৩০ মিনিট থেকেই ক্লাস ছুটি (School Timing) নিয়ে বেরোতে পারবেন।

অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি ও প্রমোশন নিয়ে বিরাট সুখবর। বেতন ও সম্মান দুই বাড়বে।

তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে, এই একমাস রমজান উপলক্ষ্যেই মুসলিম টিচার ও পড়ুয়াদের এই সুবিধা দিচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অন্য সম্প্রদায়ের কেউ কিন্তু এই বিশেষ ছুটি পাবেন না। আর ঈদ (EID) পেরোলেই আবার আগের নিয়মেই স্কুল ছুটি (School Timing) পাবেন সকলে। আর এই সুবিধা শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বাকি সকল শিক্ষকদের পুরনো নিয়ম মেনেই কাজ করতে হবে।
Written by Nabadip Saha.

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটে গেল।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment