E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড ধীরে ধীরে আমাদের দেশের একটি অতি প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠছে। বর্তমানে আধার কার্ড (Aadhaar Card) ও প্যান কার্ড (PAN Card) হল দুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের মধ্যে অন্যতম। আর পরিবর্তনই সংসারের নিয়ম। এই কথাটি মাথায় রেখে সরকারের তরফে নতুন নতুন নথিপত্র নিয়ে আসা হয়েছে। লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগেই কপাল খুললো দেশের গরীব মানুষদের।
E Shram Card Online Apply Process.
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) E Shram Card যোজনার মাধ্যমে টাকা দিচ্ছেন প্রত্যেক গরিবের ব্যাংক একাউন্টে। কত টাকা? প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পাচ্ছেন আবেদনকারীরা। টাকা পাওয়ার জন্য কোন ঝক্কি পোহাতে হবে না। কেবল একবার আবেদন করলেই প্রতিমাসে পেনশন পাবেন। শুধু প্রমাণ হিসেবে লাগবে একটি নথি। আপনিও যদি প্রতি মাসে ঘরে বসে বসে ৩০০০ টাকা পেনশন লাভ করতে চান, তবে আর দেরি না করে জেনে নিন বিস্তারিতভাবে পড়ে।
E Shram Card
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে চালু করা বিভিন্ন প্রকল্প গুলির (Government Scheme) মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হল E Shram Card. এই কার্ডের মাধ্যমে দেশের যত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইত্যাদিরা আছেন তাদেরকে পেনশন প্রদান করে থাকে কেন্দ্রীয় সরকার। ৬০ বছর বয়স পার হলেই পেনশনের সুবিধা পান আবেদনকারীরা।
এখনও পর্যন্ত দেশের ২০ কোটি কোটি মানুষ এই E Shram Card নাম নথিভুক্ত করেছেন। এর মধ্যে ২ কোটি মানুষ এর অন্তর্ভুক্ত পরিষেবা গুলি পেতে শুরু করেছেন। আর যত সময় যাবে ততই আরও অনেক মানুষ এই E Shram Card এর অন্তর্গত সকল সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজেদের নাম এইখানে নথিভুক্ত করতে চাইবে। তাই আপনারা এর থেকে পিছিয়ে থাকবেন কেন?
E Shram Card এর মাধ্যমে কি কি সুবিধা পাবেন
- E Shram Card এর মাধ্যমে ৬০ বছর বয়স পার হলে একজন আবেদনকারী প্রতি মাসে নগদ ৩০০০ টাকা পেনশন লাভ করবেন।
- এই কার্ডটি সারা ভারতে বৈধ।
- এই কার্ডের সাহায্যে আপনি প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা (PMSBY) লাভ নিতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কিংবা পূর্ণাঙ্গ বিকলাঙ্গ হলে ২ লক্ষ টাকা এবং আংশিক বিকলাঙ্গ হলে ১ লক্ষ টাকা পাবেন। এর জন্য আপনাকে প্রতি বছর 12 টাকা দিতে হবে এবং আপনার লিঙ্ক করা ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে।
- যদি একজন আবেদনকারীর পাকা বাড়ি বা বাসস্থান না থাকে তবে সেটি তৈরির জন্যও টাকা প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার এর অধীনে।
- এর পাশাপাশি যদি কোনো গর্ভবতী মহিলা কর্মচারীর কাজ করতে সক্ষম না হন, তাহলে সরকার তার এবং তার সন্তানদের জন্য সম্পূর্ন ব্যবস্থা করবে।
- E Shram Card আবেদনকারীরা তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্যেও অর্থ সাহায্য পাবেন সরকারের তরফ থেকে।
E Shram Card আবেদন করার যোগ্যতা
- শুধুমাত্র অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তকর্মীরাই এর সুবিধা নিতে পারেন।
- যারা কোন রকম আয়কর (Income Tax) দেন না এমন ব্যাক্তিরাই এই প্রকল্পের আবেদন করতে পারবেন।
- আবেদনকারী EPFO (Employees Provident Fund Organization) এর মেম্বার হলে এই কার্ডের সুবিধা নিতে পারবেন না।
- মহিলা ও পুরুষ উড়য়েই আবেদনের যোগ্য।
- সর্বনিম্ন ১৬ থেকে সর্বোচ্চ ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারেন।
E Shram Card আবেদনের প্রয়োজনীয় নথিপত্র
- আধার কার্ড (Aadhaar Card).
- এক কপি সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটো।
- PAN Card যদি থাকে।
- ব্যাংক একাউন্টের বিবরন।
- মোবাইল নম্বর।
E Shram Card আবেদন পদ্ধতি
- তারপর রেজিস্ট্রেশনের লিংক পেজের ডান পাশে থাকবে।
- তারপর ‘রেজিস্ট্রেশন অন ই-লেবার’ এ ক্লিক করুন।
- এর পরে আধার লিঙ্কযুক্ত মোবাইল নম্বর লিখতে হবে এবং ক্যাপচা লিখতে হবে।
- তারপর Send OTP এ ক্লিক করুন।
- এর পরে ওটিপি লিখুন এবং তারপরে ই-শ্রমের জন্য নিবন্ধন ফর্ম খুলবে।
- তারপর আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত এবং ব্যাংকের বিবরণ লিখতে হবে।
- তাহলে আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাওয়ার নিয়ম বদল। নতুন ও পুরোনো সবাইকে মানতেই হবে।
এই ই শ্রম কার্ড দেশের সকল রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত প্রদেশের যে কোন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীরা তৈরি করতে পারবেন। আর এই কারণের জন্যই লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারত সরকারের (Government Of India) তরফে সকলকে এই কার্ডটি তৈরি করার জন্য বলা হচ্ছে। আর ওপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অনুসারে আপনারা খুব সহজ পদ্ধতিতে এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
Written by Nabadip Saha.
বাড়ি বসেই সহজ কয়েকটি স্টেপ ফলো করে বানিয়ে নিন ডিজিটাল রেশন কার্ড।