পশ্চিমবঙ্গের সকল টেট পাস (TET Exam) পরীক্ষার্থীদের সুখবর দিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) পরীক্ষা হয়ে চলেছে, কিন্তু কোন নিয়োগ হচ্ছে না এই নিয়ে যথেষ্ট হতাশায় পরীক্ষার্থীরা। কবে এই সব নিয়োগ হবে, সেই নিয়ে এবার সদুত্তর দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (West Bengal Education Minister). শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ করেন উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ (Upper Primary Recruitment) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। তারা সরাসরি প্রশ্নও করেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।
Big Statement On Upper Primary Recruitment.
সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়ে তিনি বলেন মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগের (Primary Recruitment) ছাড়পত্র মিলবে রাজ্যে। আর তার পরই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে সমস্ত উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের। শিক্ষামন্ত্রীর মুখে এই ঘোষণা শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সকলকে আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান এই কথাই সত্যি। ঠিক কি বললেন ব্রাত্য, দেখে নিন। গত দশ বছর ধরে রাজ্যে হওয়া সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ (Primary Recruitment) পরীক্ষা গুলিতে ঘটেছে বহু দুর্নীতি।
প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চ প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক সকল স্তরেই পরীক্ষার্থীরা এর সম্মুখীন হয়েছেন। এই নিয়ে কোর্টে পাহাড় প্রমাণ কেস জমে রয়েছে এখনো। যতদিন না সেই সব কেস মিটছে ততদিন আদালতের নির্দেশে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া (Primary Recruitment) স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই নিয়েই অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে পরীক্ষার্থীদের মনে। হাজার হাজার ছেলে মেয়ে আজ দশ বছর ধরে পরীক্ষা দিয়ে বসে রয়েছে নিয়োগের আশায়।
কিন্তু সরকার তাদের সঙ্গে খেলছে। তাই প্রতিবাদ জানিয়ে বারবার বিক্ষোভে সামিল হচ্ছেন তারা। বস্তুত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে ২০১৭ সালের যে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের (Upper Primary Recruitment Exam) পরীক্ষা হয়েছিল, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) কেস চলছিল। অবশেষে সেই মামলা মিটে ২০২৩ এর আগস্ট মাসে তার চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়। আর তারপরে শুরু হয় নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। প্রথম দফার কাউন্সেলিং শেষ হয়েছে প্রায় এক মাস আগে।
কিন্তু তারপর আর কোন কাউন্সেলিং করা হয়নি। এদিকে পরীক্ষা পাস করে বসে আছেন এখনো অনেক পরীক্ষার্থী। প্রথম দফার পর স্কুল সার্ভিস কমিশন (WB SSC) বলেছিল অতি শীঘ্রই দ্বিতীয় কাউন্সিলিং শুরু করা হবে কিন্তু তা হলো কই। কখন সেটি হবে? এই প্রশ্ন এখন চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। তাদের প্রশ্নের জবাবেই এবার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর বাংলা অ্যাকাডেমিতে একটি প্রেস কনফারেন্সে শিক্ষামন্ত্রী ব্যক্ত করেন, “এ নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই (Primary Recruitment).
পশ্চিমবঙ্গে আর কেউ বেকার থাকবে না। ঘরে ঘরে চাকরি! ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক রাজ্য সরকারের।
পুরো বিষয়টি আদালতে আটকে আছে। আদালত যতদিন না বলবে নতুন নিয়োগ (Primary Recruitment) শুরু করা যাবে না। তবে আমাদের আইনজীবীরা আদালতের কাছে বারবার আপিল করছে। যেদিন এই কেসের জট কাটবে সেদিন থেকে সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তার ঘোষণায় আশার আলো দেখেছেন বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীরা। তবে দেখা যাক আদালতে কবে মেটে সেই মামলা।Written by Nabadip Saha.