পশ্চিমবঙ্গের সকল স্কুলের Academic Calendar বা অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হল। আজ Book Day অর্থাৎ বই বিতরণ দিবস ও Students Week দিয়ে শুরু হলো Academic Calendar 2024 তথা নতুন শিক্ষাবর্ষ। আর বছরের শুরুতেই শিক্ষক ও পড়ুয়াদের নজরে থাকবে, 5 টি মূল বিষয়। যে গুলো না মানলে শিক্ষকদের (School Teacher) যেমন শাস্তির বিধান ও দেওয়া হয়েছে, তেমনি পড়ুয়াদের ও নিরবিচ্ছিন্ন সার্বিক মূল্যায়ন বা CCE প্রক্রিয়া ও বাধাপ্রাপ্ত হবে। এক নজরে দেখে নিন, এবারের শিক্ষাবর্ষ তথা Academic Calendar 2024 এর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পরিবর্তন ও লক্ষ্যনীয় বিষয়।
West Bengal School Education Department Academic Calendar 2024
গত ডিসেম্বরেই প্রকাশিত হয়েছে Holiday List Cum Academic Calendar 2024 আর ছুটির তালিকার পাশাপাশি স্কুলের একাধিক নিয়মও উল্লেখ রয়েছে। আর প্রতি বছরের ন্যায় ‘২৩ শে জানুয়ারি, ২৬ শে জানুয়ারি, ১৫ ই আগস্ট এই দিন গুলিতে ছুটি থাকলেও পালনীয়’, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) ঘোষণা নিয়ে আবারো ধোঁয়াশা তৈরি হল রাজ্যে। সাধারণত আমরা জানি যে উপরোক্ত দিন গুলিতে রাজ্যের সকল বিদ্যালয় গুলি সম্পূর্ণ ছুটি থাকে। শুধুমাত্র অনুষ্ঠান ইত্যাদি থাকলে স্কুলে যেতে হয় ছাত্র ছাত্রীদের।
কিন্তু সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Secondary Education) এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মানুষের মনে সৃষ্টি হয়েছে দোটানা। কেউ বুঝতেই পারছেন না, এবছর এই দিন গুলিতে স্কুল খোলা থাকবে নাকি বন্ধ। পর্ষদের এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষকরা। কিছুদিন আগেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নতুন শিক্ষাবর্ষ ২০২৪ সালের ক্যালেন্ডার (Academic Calendar 2024) প্রকাশ করেছে। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নতুন কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে এ বছরে স্কুল গুলোর জন্য।
Academic Calender 2024 Guidelines
প্রথমেই বলা হয়েছে, এখন থেকে স্কুলের প্রতি শিক্ষককে আগের চেয়ে আরও ১০ মিনিট আগে ঢুকতে হবে স্কুলে গিয়ে অর্থাৎ এতদিন পর্যন্ত এগারোটা থেকে স্কুল শুরু হলে শিক্ষকদের ঢুকতে হতো ১০:৫০ মিনিটে। কিন্তু এখন থেকে সেই সময় এগিয়ে নিয়ে এসে ১০:৪০ মিনিট করা হল। পর্ষদ জানাচ্ছে, যদি কোন শিক্ষক এই সময়ের পরে স্কুলে ঢোকেন তবে সেই দিনটিতে (Academic Calendar) তার খাতায় লাল কালি পড়বে।
আরো বলা হয়েছে, যদি শিক্ষকরা ১১:১৫ এর পর গিয়ে স্কুলে ঢোকেন তবে সেই দিনটিতে তাদের উপস্থিতিকেই গণ্য করা হবে না অর্থাৎ এই দিন তাদের absent দেখাবে। এছাড়াও শিক্ষকেরা কে কতক্ষণ ক্লাস নিচ্ছেন, কটা ক্লাস নিচ্ছেন সেই সকল বিষয় গুলিও নজরে রাখবে পর্ষদ। দ্বিতীয়ত, এই ঘোষণাটি হল ছুটি সংক্রান্ত। যেখানে দেখা যাচ্ছে আগের বছরের চেয়েও এই বছর বেশি দিন বন্ধ থাকতে চলেছে রাজ্যের স্কুল গুলি (Academic Calendar).
নতুন ছুটির তালিকা (New Holiday List) অনুযায়ী, এবছর মোট ৬৫ টি ছুটি পাবে বিভিন্ন স্কুল গুলি। যার মধ্যে ১০ দিন রয়েছে গরমের ছুটি এবং ২৫ দিন থাকবে দুর্গোৎসব ও দিওয়ালির ছুটি। এবছর গরমের ছুটি আগের বছরের চেয়ে ৫ দিন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তবে দুর্গোৎসবের জন্য ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অন্যদিকে। যাই হোক, এই গুলি বাদ দিয়ে বাকি ছুটি গুলি (Academic Calendar) অন্যান্য দিনের। যার মধ্যে রয়েছে আসন্ন ২৩ শে জানুয়ারি, ২৬ শে জানুয়ারি এবং ১৫ ই আগস্ট এর ছুটিও।
আর এই তিনটি ছুটির ঘোষণাতেই রয়েছে গলদ। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যে। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেছেন, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকায় প্রতিবছরের মতো এবারেও দেখা যাচ্ছে ছুটি অথচ পালনীয় লেখা রয়েছে। আমরা দাবী করছি ১৫ ই আগস্ট, ২৩ শে জানুয়ারি, ২৬ শে জানুয়ারি এই বিশেষ দিন গুলি বিদ্যালয়ে পালনীয় হিসেবেই থাকুক (Academic Calendar).
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের চাকরির নতুন নীতিমালা। জানুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে। সবার আগে জেনে নিন।
ছাত্র শিক্ষক মিলিতভাবে দিন গুলো উদযাপন করুক। ছুটি হিসেবে দেখানোর পুরনো প্রথা বন্ধ হোক। পালনীয় হলে ছুটি কিভাবে হয়? বারবার এই বিভ্রান্তি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে হচ্ছে। এই জিনিস বন্ধ হোক। আর এই প্রকাশিত নতুন Academic Calendar সকল শিক্ষক ও পড়ুয়াদের অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে। এই পুরো বছর সকলের ভালো কাটুক এই কামনাই থাকলো EK24 এর সকল সদস্যদের তরফে।Written by Nabadip Saha.