পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধুদের (Krishak Bandhu) জন্য এক দারুণ খুশির খবর পাওয়া গেল। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উত্তরবঙ্গ সফরে গেছিলেন। সেখানে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে এক সভাতে যোগদান করেছিলেন। ওই সভাতে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য কিস্তির টাকা পাঠানো হয়ে গেল। এবার টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে চলে যাবে।
Krishak Bandhu Payment Status Check.
তারা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) টাকা পাবেন না তারা কী করবেন? সমস্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। কৃষকরা যাতে কৃষি কাজের জন্য উন্নত যন্ত্রপাতি কিনতে পারে সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (WB CM Mamata Banerjee) কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষকদের বছরে অনুদান দিয়ে থাকেন। যে সমস্ত কৃষকের এক একর জমি রয়েছে তারা বছরে ৮০০০ টাকা এবং যাদের এক একরের বেশি জমি আছে তারা বছরে ১০০০০ টাকা পেয়ে থাকেন।
এই Krishak Bandhu অনুদানের টাকা সরকারের তরফ থেকে একবারে কৃষকদের একাউন্টে দেওয়া হয় না। বছরে দুইবার কিস্তির মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয়। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রবি শস্য চাষের জন্য একটি কিস্তির টাকা প্রদানৎকরা হয় আর অপর কিস্তির টাকা দেওয়া হয় খারিফ শস্য চাষের জন্য এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। এই Krishak Bandhu প্রকল্পে যে সব কৃষকদের নাম অন্তর্ভুক্ত আছে তারা বীমার সুবিধাও পেয়ে থাকবেন।
যদি কোনো চাষীর কোনো কারনে মৃত্যু হয় সে ক্ষেত্রে চাষীর পরিবার দু লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা পাবে। সেই দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিতে গিয়ে Krishak Bandhu প্রকল্প সম্পর্কে বলেছেন ‘এখনও পর্যন্ত ১৭১৮১ কোটি টাকা কৃষকদের দান করেছি। আজ মঙ্গলবার ১ কোটি ১ লাখ কৃষককে মোট ২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে খারিপ মরসুমে ১ কোটি ১ লাখ কৃষককে সাহায্য দেওযা হয়েছিল। যাঁদের দু একর জমি আছে তাঁরা বছরে ১০ হাজার টাকা পান। আর যাঁরা ভাগচাষি তাদের ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয় বছরে। Krishak Bandhu প্রকল্পের টাকা আপনার একাউন্টে এসেছে কিনা কিভাবে জানবেন? কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য ৫০০০ টাকা একাউন্টে ঢুকেছে কিনা সেটি জানার জন্য www.krishakbandhu.net ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
এরপর কৃষকদের নাম নথিভুক্ত তথ্যের একটি অপশন দেখতে পাবেন। এই অপশনে ক্লিক করে যে কৃষকের নামে Krishak Bandhu প্রকল্পটি খোলা হয়েছে তার ভোটার আইডি কার্ড এর নম্বর ইনপুট করলে যদি দেখেন ট্রানজেকশন সাকসেসফুল (Transaction Successful) তাহলে জানবেন এই কিস্তির টাকা আপনার একাউন্টে এসে গেছে। এরপর আপনি ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেক করে আরো কনফার্ম হয়ে নিতে পারবেন।
আধার কার্ডের বদলে, চালু হলো এই কার্ড। সকল সুবিধা পেতে এইভাবে আবেদন করুন।
তবে যদি দেখেন যে Krishak Bandhu প্রকল্পের কিস্তির টাকা আপনার একাউন্টে ঢোকেনি সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার নিকটবর্তী কৃষি দপ্তর অফিসে যোগাযোগ করে নেবেন। আর এই ঘোষণায় নতুন বছরের আগেই খুশি হয়েছেন আমাদের সকলের অন্নদাতারা অর্থাৎ কৃষক বন্ধুরা। আর আমাদের সকলের উচিত এই অন্নদাতাদের খুশি ও ভালর কথা চিন্তা করে চলা।
Written By Nupur Chattopadhyay.
জনগনের সুবিধার্থে MyScheme Portal চালু করলো সরকার। কোন সরকারী প্রকল্পটি আপনার