টেট মামলা নিয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়ার পর জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বর্তমানে একটি দারুণ জনপ্রিয় এবং পরিচিত নাম। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই বিচারপতি ইতিমধ্যেই খ্যাতি এবং ভালোবাসা লাভ করেছেন অনেক মানুষের কাছ থেকে। সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত দুর্নীতির জাল ভেদ করে তিনি সাধারণ মানুষকে যেভাবে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিয়েছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আর এই কারণে বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে বর্তমানে Abhijit Gangopadhyay হয়ে উঠেছেন আশার আলো।
Abhijit Gangopadhyay Next Chief Minister Of West Bengal?
বাংলার মানুষ তাকে এতটাই আপন করে নিয়েছে যে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) হিসেবে তাকে চাইছেন অনেকেই! এমনকি বিরোধী দলের নেতাদেরও অনেকের মন্তব্য রাজ্যের মানুষের আস্থা, আশীর্বাদ পেয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হতে পারেন এবং ভোটেও জিততে পারেন। কিন্তু বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay বা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় কি আদৌ তাদের রাজি? তিনি কি চান গদিতে বসে রাজ্য শাসন চালাতে? এই ব্যাপারে মুখ খুললেন তিনি নিজেই।
জাস্টিস গাঙ্গুলী রাজনীতিতে আসছেন?
রবিবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে এসেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay). এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আমন্ত্রণে তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তার এহেন আগমন। স্টেশনে হাতে পুষ্পস্তবক এবং মালা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন জেলার মানুষ এবং সরকারি আধিকারিকরা। ট্রেন থেকে নামার পরই তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানানো হয় সেখানে। সকলের ভালোবাসা পেয়ে অত্যন্ত মুগ্ধ তিনিও।
তার প্রতি বাংলার মানুষের শ্রদ্ধার নিদর্শন মিলল আরো একবার। জানা গেছে , গোটা জেলা জুড়ে এদিন তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। প্রথমে তিনি লালবাগে হাজারদুয়ারি দর্শনে যাবেন। পাশাপাশি, বহরমপুরের শহীদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারে একটি রিডিং রুম উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলির (Abhijit Gangopadhyay) মুর্শিদাবাদ সফরের দিনই একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury).
আর এই সাংবাদিক বৈঠকেই তিনি বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay এর মুখ্যমন্ত্রী হবার বিষয়টি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “তাঁকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে একটা নির্বাচন হোক। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) যদি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে আমি প্রথম লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁকে ভোট দেব। আমি এটা মনে প্রাণে চাই। কারণ এটা বাংলার রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত তৈরি করবে। এই সমস্ত মানুষকেই তো বাংলার প্রতিনিধি করা উচিত।
ডিসেম্বর মাসে কোন কোন চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে? কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি চাকরির তালিকা।
উনি বাংলার মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছেন। ওঁর মতো মানুষের মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই উচিত বলে আমার ব্যক্তিগত মত।
তবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্যের প্রত্যুত্তর এখনো মেলেনি বিচারপতির তরফ থেকে। তিনি কি আদৌ রাজী রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আসতে? সে ব্যাপারটি এখনো স্পষ্ট করেননি বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay নিজে। তবে এই ক্ষেত্রে অনেকেরই মত, যদি সত্যিই তিনি বাংলার ক্ষমতায় আসেন তবে মানুষের দুঃখের দিন এবারে শেষ হবে। তবে স্বপ্ন দেখতে বাঙ্গালী ভালোবাসে।
কিন্তু এই মুহুর্তে বাংলার মেয়ে যে দায়িত্বে রয়েছেন, সদ্য বাংলার মানুষ তাকেই গ্রহণ করেছে। জাস্টিস গাঙ্গুলী খুব কম সময়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন, সেকথা ঠিকই। তবে সেই জায়গাটা আদৌ কতটা প্রশ্ন থেকে যায়। অন্যদিকে, মন্তব্য আসছে অধীরবাবু নাকি প্রচারে আসার জন্য এই মন্তব্য করছেন? এই ব্যাপারে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
Investment Options – দ্রুত টাকা বাড়াতে হলে এবং অবসর বয়সে নিশ্চিন্তে কাটাতে হলে এই
অভিজিৎ গাঙ্গুলির মতো সৎ একনিষ্ট আইনের ধারক বাহক যারা, তারা বর্তমান রাজনীতির চোরা-স্রোতে গা ভাসিয়ে দেবার মতো মূর্খামি করেন বলে মনে করিনা। শত প্ররোচনা সত্তেও নয়। বিচারক শ্রদ্ধেয় গাঙ্গুলির মতো সন্মাননীয় মানুষকে এমন প্রস্তাব দেওয়াটাও ধৃষ্টতার মধ্যে পরে বলেই আমার বিশ্বাস।