পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে থাকা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য এই GP Birla Scholarship নিয়ে আসা হয়েছিল। এই স্কলারশিপ আনার মূল উদ্দেশ্যে হল সকল আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা পড়ুয়াদের জন্য এই সুবিধা ঘোষণা করা হয়েছে। ভারতের নামকরা শিল্পপতি গঙ্গা প্রসাদ বিড়লার ইচ্ছা অনুসারে এই GP Birla Scholarship টি G. P. Birla Educational Foundation এর পক্ষ থেকে এই আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। বহু ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা মেধাবী, কিন্তু তাদের পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য পড়াশুনার খরচ সেই ভাবে চালাতে পারে না।
GP Birla Scholarship Merit List Check Online.
ফলে তাদের এক সময় পড়াশোনাটা বন্ধ হয়ে যায়। এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য GP Birla Scholarship এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যের জন্য বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং বড় বড় কোম্পানি কলারশিপ প্রদান করে থাকে। ভারতের বহুজাতিক সংস্থা গুলির মধ্যে অন্যতম হলো আদিত্য বিড়লা ম্যানেজমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এই কোম্পানির সদর দপ্তর হল ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের ওরলিতে। এই সংস্থার কর্মচারীর সংখ্যা ১৪০,০০০।
বর্তমানে বিশ্বের মোট ৩৬ টি দেশে এই কোম্পানিটি তাদের কাজ করছে। এই সংস্থা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে স্কলারশিপ প্রদান করে তার নাম ‘জিপি বিড়লা স্কলারশিপ’। GP Birla Scholarship এর মাধ্যমে ১২ ক্লাস উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা বছরে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে স্কলারশিপ পেতে পারেন। স্কলারশিপটা একটি বেসরকারি স্কলারশিপ। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা সরকারি স্কলারশিপের পাশাপাশি এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। GP Birla Scholarship আবেদনের যোগ্যতা জেনে নিন।
- পশ্চিমবঙ্গের যে কোন নাগরিক এই জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে হবে।
- পরিবারের বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
- ৮৫% থেকে ৯০% পর্যন্ত নম্বর থাকতে হবে।
যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা GP Birla Scholarship ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য আবেদন করেছিলেন তাদের মেরিট লিস্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে এই স্কলারশিপের মেরিট লিস্ট দেখতে পাবে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হল। প্রথমে জিপি বিড়লার ওয়েবসাইটে যান। রেজাল্ট অপশনে ক্লিক করে আপনার স্কলারশিপের রেজাল্ট জেনে নিন। GP Birla Scholarship আবেদনের নথিপত্র ও টাকার পরিমাণ।
- বর্তমানের রঙিন ফটো।
- দ্বাদশশ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার প্রমাণপত্র।
- পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র।
- যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হওয়ার প্রমাণপত্র।
- এই স্কলারশিপের অধীনে সকলকে ৫০ হাজার টাকা ও বই কিনতে প্রথম বছরে ৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে যে আবার কি নতুন করে ‘জিপি বিড়লা স্কলারশিপ’ এর জন্য আবেদন করা যেতে পারে? এর উত্তরে বলা যেতে পারে এখন এই শিক্ষাবর্ষের জন্য বিড়লা স্কলারশিপের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার তারিখ শেষ হয়ে গেছে। এই স্কলারশিপটির আবেদনের অন্তিম তারিখ ছিল ২১ই আগস্ট, ২০২৩। আবার যখন এই স্কলারশিপের নোটিশ বের হবে তখন পরের শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাত্রছাত্রীর আবেদন করতে পারবেন।
RBI Rules – নিয়ম না মানায় 5টি ব্যাংক কে কড়া শাস্তি। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যাংক।