ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে, আসল কারণ কি,জেনে নিন
ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৪৩৬ টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। এরকম অভিযোগ অধিকাংশ নাগরিককে সম্প্রতি করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কেন? দেশের অধিকাংশ মানুষেরই এই মুহূর্তে ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে কোনো না কোনো একাউন্ট রয়েছে। সেই একাউন্টের মাধ্যমেই দেশবাসী সঞ্চয় করেন বা বিনিয়োগ করেন। শুধু তাই নয়, সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা সরাসরি দেশবাসীর ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হয়ে থাকে। ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেই অনলাইন পেমেন্ট করে কেনাকাটা করা হয়ে থাকে।
UPI পেমেন্টের ক্ষেত্রেই হোক আর যেভাবেই অনলাইন ব্যবস্থায় পেমেন্ট করুন না কেন। তাহলে বর্তমানে যখন অধিকাংশ মানুষের কাছ থেকেই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, যে ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের একাউন্ট থেকে ৪৩৬ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে, তখন এই বিষয়টি সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া দরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা কার্যকর করা হয়েছিল।
১৮ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত মানুষেরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এই বীমা যোজনার ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা ব্যাংক একাউন্ট বা পোস্ট অফিসের একাউন্ট থেকে অটো ডেবিট অপশনের মাধ্যমেও এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর সেখানেই অটো ডেবিট অপশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৪৩৬ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়।
বাজারে আসতে চলেছে নতুন 100 টাকার কয়েন, কীভাবে হাতে পাবেন? জানুন।
৩১ শে মে বা তার আগের যেকোনো সময় ব্যাংক একাউন্ট থেকে এই টাকা কেটে নেওয়া হয়। অন্যান্য বীমা সংস্থার পক্ষ থেকেও এই স্কিম দুটি অফার করা হয়ে থাকে। এবার যদি কোনো গ্রাহক এই বীমা প্রকল্প চালাতে না চান, তাহলে তিনি নিজের যে ব্রাঞ্চে একাউন্ট রয়েছে, সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সঠিকভাবে পালন করে নিজের নাম এই বীমা যোজনা থেকে বাতিল করতে পারেন।
কেন্দ্র দিচ্ছে 5 লক্ষ টাকার সুবিধা, এই প্রকল্পের সুবিধা কিভাবে পাবেন জেনে নিন।
পাশাপাশি, আবার যদি সঠিক সময় মত এই বীমার প্রিমিয়াম না দেওয়া হয় তাহলেও যোজনা থেকে নাম বাতিল হয়ে যাবে। আবার ব্যাংক একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকলেও আপনাআপনি নাম বাতিল হয়ে যাবে। তাই যদি আপনার ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের একাউন্ট থেকে ৪৩৬ টাকা কেটে নেওয়া হয় তাহলে চিন্তার কারণ নেই। ব্যাংকের ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করে নিজের নাম বাতিল করতে পারেন।
Written by Rajib Ghosh.