Yuvashree Prakalpa – পাবেন প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা, আবেদনের পদ্ধতির বিষয়ে বিস্তারিত জানুন।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর থেকেই Yuvashree Prakalpa এর মতো একের পর এক জনমুখী প্রকল্প রচনা করে বাস্তবায়িত করা হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত স্তরের প্রত্যেকটি মানুষের জন্যই পৃথক পৃথক প্রকল্প তৈরি হয়েছে। যার ফলে উপকৃত হচ্ছেন রাজ্যবাসী। কি নেই সেই তালিকায়? কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভান্ডার, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, কৃষক বন্ধু, জয় জোহার, মেধাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ, ঐক্যশ্রী, খাদ্য সাথী সহ বহু প্রকল্প।
আর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যারা ছুটে বেড়াচ্ছেন এদিক ওদিক, এখনো পর্যন্ত কাজ মেলেনি, বেকার রয়েছেন, সেই সমস্ত বেকারদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, যুবশ্রী প্রকল্প বা Yuvashree Prakalpa এই যুবশ্রী প্রকল্পে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন যে কোনো শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা Banglar Prokolpo। এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে (Employment Bank) নাম নথিভুক্ত করলে একদিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন কাজের সুযোগ তৈরি হবে, ঠিক পাশাপাশি যতদিন পর্যন্ত তারা কাজ পাবেন না, যুবশ্রী প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকার প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা করে অনুদান দেবে।
তবে তার জন্য যুবশ্রী প্রকল্পে টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে নাম নথিভুক্ত হয়েছে কিনা সেটা দেখে নিতে হবে। এই মুহূর্তে যুবশ্রী প্রকল্পে ওয়েটিং লিস্টে যাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে, তারাই প্রতি মাসে ১৫০০ করে টাকা পেতে থাকবেন। যারা যুবশ্রী প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত করেছেন, তারা একবার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখে নিন, টাকা পাওয়ার জন্য তার নাম ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে কিনা।
যদি যুবশ্রী প্রকল্পের ওয়েটিং লিস্টে নাম থাকে, তাহলে ১৭ই এপ্রিল থেকে ১ জুনের মধ্যে প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে (Banglar Prokolpo)।
আবেদন করার পরে একটি প্রিন্ট আউট সঙ্গে রেখে দিতে হবে।
এরপর নিজের ভ্যালিডেশন ফর্ম পূরণ করে টাকা পাওয়ার জন্য জমা করতে হবে।
রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং কর্মসংস্থানহীন বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য এই যুবশ্রী প্রকল্পে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে Banglar Prokolpo। যুবশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার জন্য বেশ কিছু যোগ্যতা নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। এবারের ওয়েটিং লিস্টে ২০ হাজার নাম রয়েছে। যারা প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা করে অনুদান পেতে চলেছেন। এবার দেখে নেওয়া যাক,
যুবশ্রী প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার যোগ্যতা:
* পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
* আবেদনকারীকে কর্মসংস্থানহীন বেকার হতে হবে।
* বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বৎসরের মধ্যে হতে হবে।
* ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি পাস করতে হবে।
যুবশ্রী প্রকল্পের জন্য এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক এ রেজিস্টার্ড করা থাকলে এবং ITI বা ওই ধরনের কোনো কারিগরি ট্রেনিং নেওয়া থাকলে এই স্কিমে তিনি অগ্রাধিকার পাবেন।
কেন্দ্র বা রাজ্য কোনো সরকারের আর্থিক সহায়তা বা অনুদান নেওয়া থাকলে এবং ব্যাংকের কোনো ঋণ নেওয়া থাকলে এই প্রকল্পে নথিভুক্ত হতে পারবেন না।
রাজ্যের প্রতিটি পরিবার থেকে একজন সদস্যই এই যুবশ্রী প্রকল্পে নথিভুক্ত হতে পারবেন।
যুবশ্রী প্রকল্পের এই আর্থিক সহায়তা পেতে গেলে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে (Employment Bank) নাম রেজিস্টার্ড থাকতে হবে। এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম রেজিস্টার থাকলে সরকারি সংস্থা ছাড়াও বহু বেসরকারি সংস্থার তরফে সেখান থেকে যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নিয়ে চাকরি দেওয়া হয় Banglar Prokolpo। রাজ্য সরকারের তরফেও সমস্ত সংস্থার কাছে এই বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জানানো হয়েছে।
তাছাড়া এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নাম নথিভুক্ত থাকলে যতদিন বেকার থাকবেন তিনি, যদি প্রতিমাসে আর্থিক সহায়তা পেতে চান, তাহলে যুবশ্রী প্রকল্পের অধীনে সেই আবেদন তিনি করতে পারেন। এবার তার যোগ্যতা অনুযায়ী ওয়েটিং লিস্টে নাম নথিভুক্ত হলেই তিনি আর্থিক সহায়তা পেতে থাকবেন। এবার দেখে নেওয়া যাক,
আকাশে মেঘ জমা শুরু, বৃষ্টি কবে হবে? আবহাওয়া দফতরের বিরাট আপডেট।
এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংকে নাম নথিভুক্ত করতে গেলে কিভাবে আবেদন করা যাবে (Banglar Prokolpo):
* প্রথমেই employmentbankwb.gov.in এই ওয়েবসাইটে নাম রেজিস্টার করতে হবে।
* এরপরে New Enrollment for Job Seeker অপশনে ক্লিক করে Accept and Continue অপশনে ক্লিক করতে হবে।
* অনলাইনে যে ফর্মটি আসবে তা যাবতীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।
* এরপরে নিজের একটি পাসপোর্ট ছবি এবং সই স্ক্যান করে নির্দিষ্ট জায়গায় Upload করে Submit করতে হবে।
* এই আবেদনের একটি প্রিন্ট আউট সঙ্গে রেখে দিতে হবে।
এবার দেখে নেওয়া যাক,
অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির পূর্বাভাস সমগ্র রাজ্যে, ঠিক কি জানালো আবহাওয়া দফতর দেখুন।
আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্টস (Documents) লাগবে:
* মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড
* শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
* আধার কার্ড
* ভোটার কার্ড
* পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
Written By Rajib Ghosh.