ভালো সরকারি চাকরি পাওয়ার ইচ্ছে সকল প্রার্থীরই থাকে। কিন্তু তার জন্য লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে দিতে হয় ইন্টারভিউও। তাই সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কেবল উচ্চশিক্ষা প্রয়োজন তা নয়। তার সঙ্গে চাই ভালো উত্তর দেওয়ার ক্ষমতাও। অনেকে এমন আছেন, লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন, কিন্তু ইন্টারভিউ এর সময় আর সেই ধাপ পেরোতে পারেননি। তাই একটুর জন্য সরকারি চাকরি না পাওয়ার আপসোস থেকে যায়। এই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করা যাবে। কিভাবে? তাহলে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ে আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে নিন।
সামনেই সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ? সাফল্যের জন্য রইলো এই 8 টি প্রশ্নোত্তর।
ইন্টারভিউতে সবসময় যে কঠিন প্রশ্ন রাখা হয় তা কিন্তু নয়। এটি আসলে পার্সোনালিটি টেস্ট। যে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। যেখানে আপনার উপস্থিত বুদ্ধি, আত্ম বিশ্বাস, ব্যাক্তিত্ব, সমস্যা সমাধানে সক্ষমতা বিচার করা হয়। আজকে এই প্রতিবেদনে এমন কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর সম্পর্কে জানানো হবে, যা ভবিষ্যতে প্রার্থীকে তার সরকারি চাকরি বা যেকোনো বেসরকারি চাকরির ইন্টারভিউতে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
কিভাবে নিজেকে সরকারি চাকরির ইন্টারভিউতে উপস্থাপন করতে হবে? দেখে নিন এই টিপস।
১) নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হয়।
সেক্ষেত্রে একনাগাড়ে নিজের বিষয়ে বলে গেলে হবে না। বুদ্ধিমত্তার সাথে উত্তর দিতে হবে। নিজের প্যাশনের কথা উল্লেখ করতে হবে। সঙ্গে হার্ড ওয়ার্কিং, মাল্টি ট্যালেন্টেড ইত্যাদি কথা উল্লেখ করতে হবে। এবং কথা বলার সময়ে আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে, এবং আপনাকে দেখে যেন খুবই মোটিভেটেড মনে হয়। এমন টা যেন মনে হয়, আপনি তাদের এসাইনমেন্ট করার জন্য মুখিয়ে আছেন, কোনও কাজ দিলে সেটা নিপুন ভাবে শেষ করবেন।
২) আপনি এই পেশার সঙ্গে কেন যুক্ত হতে চান?
বেশিরভাগ সময়েই যেই বিষয়ে ব্যক্তি পড়াশোনা করেছেন, সেই নিয়ে ভবিষ্যতে এগোবার ইচ্ছে প্রকাশ করলে, ‘কেন সেই পেশা নিতে চান?’ সেই প্রশ্ন করা হয়। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি বলতে পারেন, তার ইচ্ছের কথা। বিষয়টি কতটা ভালো লাগে তার। সেই দিকে ভবিষ্যতে উন্নতি করতে চান, সেই বিষয়ে বলা যেতে পারে।
৩) তারা কেন আপনাকে চাকরিটা দেবে?
এই প্রশ্ন খুবই কমন। তবেই উত্তর খুব কঠিন নয়। আপনাকে বোঝাতে হবে আপনার মতো টেলেন্টেড এবং হার্ড ওয়ার্কিং কর্মী খুবই কম রয়েছে। এই উত্তরটিই সুন্দরভাবে ইন্টারভিউযারদের বোঝাতে হবে। এবং যে দপ্তরের জন্য আপনি ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন, সেই ব্যাপারে আপনাকে স্টাডি করে যেতে হবে। এবং আপনার দক্ষতা সেই ডিপার্টমেন্ট এর জন্য বিশেষ ভাবে কি কাজে লাগতে পারে সেটা আপনার কথা বলার সময়েই নিজের থেকে উল্লেখ করতে হবে।
৪) আপনার শখ কি?
এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে পারেন নিজের শখের বিষয়গুলির কথা। শখের বিষয়ে কোনো পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থাকলে তাও জানাতে হবে। সেক্ষেত্রে যে সংস্থায় আপনি কাজ করতে চাইছেন সেই রকম প্রাসঙ্গিক শখ আপনার থাকলে সেটা অবশ্যই বাড়তি গুরুত্ত্ব দেবে। যেমন, শিক্ষকতার ইন্টারভিউতে যদি আপনার শখ বই পড়া, কিম্বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বলেন, সেক্ষেত্রে আপনি বাড়তি বেনিফিট পেতে পারেন। তবে সেই শখ গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। ধরুন আপনার শখ গান গাওয়া বললেন কিন্তু আপনি গান পারেন না, সেক্ষেত্রে আপনি সেখানেই হেরে গেলেন। কিম্বা বই পড়া বলার পর আপনি যদি কমন একজন রাইটারের নাম না জানেন, তবে সেক্ষেত্রে বিপদে পড়বেন।
পশ্চিমবঙ্গে শুরু হলো 12000 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।
৫) প্রেসার এবং স্ট্রেস হলে সামলাবেন কিভাবে?
এই প্রশ্ন আসলে রাখা হয় জানার জন্য প্রার্থী কতটা পরিণত মনষ্ক। তাই সবসময় উত্তর সবসময় পজিটিভ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। উত্তরের সাথে একটি সমস্যার কথা উল্লেখ করে সেটি সমাধানের উপায় বললে আপনি এক্ষেত্রে ও ফুল মার্কস পাবেন।
৬) আগামী 5 বছরে নিজেকে কোন জায়গায় দেখতে চান?
এই প্রশ্নের উত্তরটি তৈরী করে রাখতে হবে। যেই পোস্টে এপ্লাই করা হচ্ছে, তার ডেসিগনেশন প্রোমোশন বা কেরিয়ার গ্রোথ কীভাবে হবে, সেগুলি জানতে হবে।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্র নিয়োগ, প্রচুর শূন্যপদে নিয়োগ শুরু, আবেদন করতে ক্লিক করুন।
পূর্ববর্তী চাকরি ছাড়ার পর নতুন কোনো পদে আবেদনের ক্ষেত্রে,
৭) আগের চাকরি কি তিনি ছেড়েছেন না বরখাস্ত করা হয়েছে?
সঠিক উত্তর দিতে হবে। এই প্রশ্নের উত্তর আগে থেকে ভেবে রাখতে হবে। তবে আগের কর্মক্ষেত্রের বা সংস্থার কোনও অপবাদ দেওয়া চলবে না।
৮) কেন ছাড়লেন চাকরি?
এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যেতে পারে, ভালো চাকরির আশা সকলে করে থাকেন। সেই কারণে প্রিপারেশনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অথবা ব্যক্তি নিজস্ব উত্তরও দিতে পারেন।
সরকারি চাকরি সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।