কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষদের উন্নয়নের জন্য Sabala Scheme এর মতো, বিভিন্ন রকমের জনমুখী প্রকল্প চালু করেছে। এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন শিশু থেকে, স্কুল কলেজ পড়ুয়া, বেকার থেকে চাকরিজীবী, গৃহিণী থেকে কৃষক। অর্থাৎ সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ। কিন্তু অনেকেই বিভিন্ন প্রকল্প সম্মন্ধে জানেন না। যার জেরে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সেই প্রকল্পে আবেদন করেন না, এবং অজ্ঞতার কারনে বঞ্চিত হ্যে থাকেন। তাই এই প্রতিবেদনে তেমনই একটা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হলো।
West Bengal Sabala Scheme – সবলা প্রকল্পঃ
Sabala Scheme বা সবলা প্রকল্প এর সাহায্যে রোজগার করতে পারবেন বেকার যুবতীরা। দেখে নিন বিস্তারিত।
মহিলাদের বর্তমানে নিজের পায়ে দাঁড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ঘরে বাইরে সমান তালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এখনকার মহিলারা। খুঁজে নিচ্ছেন রোজগার করবার বিভিন্ন পথ। রাজ্য সরকারও বিভিন্ন জনমুখী চালু করেছে রাজ্যের মহিলাদের জন্য। সেই রকমই একটি প্রকল্প হল সবলা প্রকল্প (Sabala Scheme), যেখানে কাজ করে বেকার থেকে সকার হতে পারবেন মহিলারা। আক্ষরিক অর্থেই ‘Sabala Scheme বা সবলা প্রকল্প’ মহিলাদের আর্থিক ভাবে সবল করার সরকারি প্রচেষ্টা।
Sabala Scheme প্রকল্পটি হল মূলত কিশোরীদের জন্য। তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। কিশোরী বলতে এখানে ১১ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সের মেয়েদের কথা বলা হয়েছে। এখানে কিশোরীদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে যারা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করবে, তারা এই প্রকল্পের আওতায় সুষম পুষ্টিকর খাদ্য পাবে। সাথে মিলবে জীবনের দক্ষতা, বৃত্তিমূলক দক্ষতা, স্বাস্থ্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত নানান জ্ঞান অর্জনের সুযোগও।
সবলা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল কিশোরী মেয়েদের পুষ্টি, উন্নয়নগত অবস্থান এবং স্বাস্থ্যোন্নতি সাধন করার পাশাপাশি তাদের আর্থিক ভাবে সবল করা। এখানে সরকারের তরফে আর্থিকভাবে অনগ্রসর পরিবারের মেয়েদের ডায়েটে সুষম খাবার প্রদান করা এবং টাকা রোজগারেও সহায়তা করা অবশ্যই তারিফযোগ্য।
এই প্রকল্পে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, তা হল-
১) এখানে ১১ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সের কিশোরী মেয়েরা এই প্রকল্পের আওতায় একেবারে নিখরচায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মাধ্যমে পুষ্টিকর খাবার পাবে।
২) সাথে এখানে দক্ষতামূলক শিক্ষা দেওয়া হয়, যেসব দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেয়েরা তাদের নিজেদের জীবনে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবে।
৩) কিশোরীদের স্বাস্থ্যের উপরও জোর দেওয়া হয় এই প্রকল্পে। এখানকার সব মেয়েদের একটি করে ‘কিশোরী কার্ড’ হয়। এই কার্ডে কিশোরীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যের উল্লেখ থাকে।
এই কার্ড দেখিয়ে তারা সরকারী সুবিধা পেয়ে থাকেন।
শর্তাবলীঃ
সবলা প্রকল্পের আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে কিশোরীদের কয়েকটি শর্ত মানতে হয়।
১) কিশোরীর বয়স হতে হবে কেবলমাত্র ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
২) যে সব কিশোরী সবলা প্রকল্পের সুবিধে নিতে চায়, তাদের অতি অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে।
৩) অংশগ্রহণ করার জন্য কিশোরীদের কোনও না কোনও স্কুলের ছাত্রী হওয়া আবশ্যিক।
গরিব মানুষের এসি, মাত্র 2000 টাকায় হু হু করে ঠান্ডা হবে ঘর।
২০১১ সালের জুলাই মাস থেকে রাজ্যের সাতটি জেলা, যথা- কলকাতা, কোচবিহার, নদিয়া, জলপাইগুড়ি, পুরুলিয়া, মালদা এবং আলিপুরদুয়ারের অঙ্গনওয়াড়ি গুলিতে এই প্রকল্প চলে আসছে। কিশোরীদের এই সাতটি জেলার মধ্যে কোনো একটির বাসিন্দা হতে হবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিউটিশিয়ান, হস্তশিল্প, সেলাই, ছাপাখানা এবং ডায়িং, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদির এর মতো বিভিন্ন পেশার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে রাজ্য সরকারের তরফে।
Written by Antara Banerjee.