উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কাটিতে সহজেই ভালো রেজাল্ট করার উপায়।

পরীক্ষা ভীতি, সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, কিভাবে নিজেকে তৈরি করবেন।

মাধ্যমিক শেষ হতেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (WBCHSE High Secondary Exam 2023) ঘন্টা বেজে গেল। আর পরীক্ষা মানেই পড়ুয়া তথা অভিভাবকদের চরম ব্যস্ততা। আর বর্তমানে ছোট থেকেই সন্তানদের উপরে পড়াশোনার চাপ, কেরিয়ার তৈরি করার চাপ সহ একাধিক চিন্তাভাবনা চাপিয়ে দেওয়া হয়। আর তার থেকেই তাদের মধ্যে ভীতিভাব কাজ করতে থাকে। বিশেষ করে যখন বোর্ডের পরীক্ষা হয়, তখন তারা স্বাভাবিকভাবেই নার্ভাস হয়ে পড়ে। যদি পরীক্ষার ফল খারাপ হয়, এই ভাবনা থেকে অনেক সময় দেখা যায়, পরীক্ষা হলে গিয়ে জানা প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর দিতে পারেনা।

এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে পড়ুয়ারা এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে কিভাবে সেই ভয় দূর করে নিজেকে এবং পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করে এগিয়ে যাবেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
হাতে যেটুকু সময় আছে, এই সময়েই অযথা চিন্তাভাবনা, ভয় ভীতি মনের ভিতর না রেখে পড়ুয়ারা যাতে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, অভিভাবক হিসেবে সন্তানদের সেই সাহায্য কিভাবে করবেন?

১. প্রথমেই বোর্ডের পরীক্ষা দেওয়ার আগে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরি। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন রুটিন মেনে চলাটাও জরুরি। স্নান, খাওয়া, ঘুম কত সময় লাগবে, হিসাব করে নিন। তবে ঘুমের সময়ে কমিয়ে দেবেন না। তাহলে পড়ায় মন বসবে না। আর এর মধ্যেও আধ ঘন্টা আড্ডা, বেড়ানো, গান শোনা ইত্যাদির জন্য রেখে দিন। কারণ এটুকুর দরকার আছে।

২. অভিভাবকেরা এই সময়ে সন্তানরা কিভাবে পড়াশোনা করবে, তার একটা প্ল্যান তৈরি করে দিতে পারেন। পড়ুয়ারা যে বিষয়ে দুর্বল, সেগুলো একটু বেশি করে পড়তে হবে। পড়াশোনার নির্দিষ্ট সিলেবাস বা অধ্যায় শেষ করার জন্য একটা সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। সাজেশনের উপর নির্ভর করে পড়াশোনার অভ্যাস ঠিক নয়। তবুও অনেক কঠিন সময়ে সেটা কাজে লাগতে পারে। তার জন্য প্রয়োজন হলে কয়েক বছরের প্রশ্ন থেকে একটা সাজেশন তৈরি করে দিন।

৩. পড়ুয়াদের উপরে এই সময় যেন মানসিক চাপ তৈরি না হয়। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মা-বাবারা মাত্রাতিরিক্ত সন্তানের কাছে আশা করেন। আর সেটাই সন্তানের উপরে চাপ তৈরি করে। ফলে একটা জিনিস বুঝতে হবে। সমস্ত শিশুর মেধা এক নয়। তাই মা-বাবারা শুধু টার্গেট ঝুলিয়ে দিলে সন্তানরা সমস্যায় পড়ে যাবে। অন্য কোনো ছেলে মেয়ের সঙ্গে সন্তানের তুলনা করবেন না।

Mid Day Meal (মিড ডে মিল)

৪. পড়ুয়াদের মধ্যে যেন কোনো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি না হয়। ঝগড়া বিবাদ এর মধ্যে তাদের ডাকবেন না। ঘরোয়া অশান্তিকে পাশ কাটিয়ে যান। আর মনসংযোগ বাড়ানোর জন্য মেডিটেশন, যোগাসন করতে পারেন। খাওয়া-দাওয়ার কয়েকটা নিয়ম মানুন। বেশি চা কফি খাবেন না। কোল্ড ড্রিঙ্ক না খেলে ভালো হয়। দিনে অন্তত সাত আট ক্লাস জল খান।

আজ থেকে LPG Price বেড়ে গেল অনেকটাই, কোথায় কত বাড়ছে, জেনে নিন।

৫. আর এরপরও যদি দেখা যায় চাপ কমছে না। হাত-পা কাঁপছে, বুক ধড়ফড় করছে, ঘেমে যাওয়ার মতো উপসর্গ তৈরি হচ্ছে। আর তার জন্য যদি পড়াশোনা, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, তাহলে দেরি না করে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজন হলে ওষুধ খেতে হবে। চাপ কাটাতে নেশা করবেন না। তাতে অসুবিধা হবে। উল্টো বিপত্তি হবে। এই সময় সন্তানদের দিকে একটু খেয়াল রাখুন অভিভাবকরা।
Written by Rajib Ghosh.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment