Corporal Punishment in Schools – স্কুল পড়ুয়াকে শাস্তি দেওয়ায় শিক্ষককে 1 লক্ষ টাকা জরিমানা সঙ্গে হাজত বাস।

শিক্ষার অধিকার আইন অনুসারে স্কুলে শাস্তি বা Corporal Punishment in Schools দেওয়া যাবে না। আর এই নিয়ম কে হাতিয়ার করে বিভিন্ন সময়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। আর তেমনই একটা মামলায় ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছর হাজত বাসের নির্দেশ আসে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। আর সেই মামলার শেষ পরিনতি কি হলো জেনে নিন।

তবে কি আবার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে ছড়ি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শাসন করতে দেখা যাবে? প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে। তার কারণ সম্প্রতি বম্বের গোয়া হাইকোর্টের Corporal Punishment in Schools সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে শুধু পড়াশোনা করতে আসে না। তারা নিয়ম-শৃঙ্খলাও শিখতে আসে। ফলে শিক্ষকের শাসন করার অধিকার রয়েছে।

পাশাপাশি, এ কথাও উঠে আসছে, তাহলে কি একটা সময় দেখা যেত, বহু শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতো, তারা হাতের ছড়ি বা স্কেল, এই ধরনের যাবতীয় জিনিস নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মারতেন। যার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন, এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও শোনা গিয়েছে। তাহলে কি সেই ভাবেই শাসন করতে পারবেন শিক্ষক শিক্ষিকারা? প্রশ্ন উঠছে। তবে এর জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।
হয়তো আগের সেই ছবি দেখা যাবে না। তবে ছাত্র-ছাত্রীরা অবাধ্য হলে বা কোনো কথা না শুনলে, পড়াশুনায় ফাঁকি দিলে, শিক্ষকেরা হয়তো একটু শাসন করতে পারবেন।

কিন্তু সেখানেও তাদের একটা নির্দিষ্ট সীমা থাকবে। কারণ, কখনোই কোনো অভিভাবক চাইবেন না, তার সন্তান স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা বা নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখার নামে তার শিক্ষকের হাতে মার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ুক বা তার ক্ষতি হোক। কারণ সন্তানের কিছু হলে স্বাভাবিকভাবেই তার পিতা-মাতার যে পরিস্থিতি তৈরি হবে সেটা আর বলার জন্য কোনো শব্দ বা বাক্যের প্রয়োজন হয় না। এখানে কর্মরত ওই শিক্ষক বা শিক্ষিকার সেই অর্থে কোনো প্রভাব পড়বে না। কিন্তু এর মধ্যেও ব্যতিক্রম আছে। দুই একজন শিক্ষক শিক্ষিকার মনে সেই স্নেহ বা ভালোবাসা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি থাকে। তারা হয়তো কষ্ট পেতে পারেন। কিন্তু সংখ্যাটা নিতান্তই সামান্য।

Corporal Punishment in Schools is legal or not?

একটা সময় দেখা যেত, শিক্ষকরা স্কুলের অলিন্দে প্রবেশ করলেই ছাত্র-ছাত্রীদের চেঁচামেচি বন্ধ হয়ে যেত। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পড়ুয়ারা ক্লাসরুমে ঢুকে গিয়ে নিজের নিজের আসনে বসে পড়তো। পড়াশোনা শুরু করে দিত। অবাধ্য ছাত্র-ছাত্রীরা যতক্ষণ স্কুলে থাকতো, ততক্ষণ একটা নিয়ম-শৃঙ্খলার বাঁধনে থাকতো। তবে শিক্ষকদের দেখে সেই ভয় বা সম্ভ্রমের ছবি এখন হয়তো আর সেই ভাবে দেখা যায় না। তার কারণ আইন করেই ছাত্র-ছাত্রীদের ছড়ি বা বেত নিয়ে মারার মত ঘটনা, ক্লাসের বাইরে নীল ডাউন করে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা, কান ধরে শাস্তি দেওয়ার মতো ঘটনা, Corporal Punishment in Schools সমস্তই সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

PAN Aadhaar Link status check online (প্যান আধার লিংক)

আর এছাড়া বহু ক্ষেত্রে শিক্ষকরাও দায়ী। এমন কোনো কিছু শিক্ষক শিক্ষিকারা করতে পারবেন না, যার ফলে শারীরিক বা মানসিকভাবে ছাত্র-ছাত্রী আঘাত প্রাপ্ত হয়। কোনোভাবেই কোনো পড়ুয়াকে শিক্ষকরা Corporal Punishment in Schools বা শারীরিক বা মানসিকভাবে অত্যাচার করতে পারবেন না।
বর্তমানে কোনো শিক্ষক চাকরিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই এই বিষয়টি হলফ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ফলে সেই দিন আর নেই।

২০১৪ সালে গোয়ার একটি প্রাথমিক স্কুলে এক ছাত্রী জল খাওয়ার নাম করে ক্লাসে ফাঁকি দিচ্ছিল। স্কুলের শিক্ষক তাকে কান ধরে বাইরে দাঁড় করিয়ে দেন। ওই স্কুলেই তার দিদিও পড়াশোনা করত। সে এসে শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। তাকেও Corporal Punishment in Schools কান ধরে দাঁড় করিয়ে দেন ওই শিক্ষক। ছাত্রীর বাবা-মা আদালতে মামলা দায়ের করেন। নিম্ন আদালত ঐ শিক্ষককে 1 লক্ষ টাকা জরিমানা ও হাজত বাসের নির্দেশ দেন এবং কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন, আদালতের নির্দেশের পর, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে সংকট, 23 তারিখে পরীক্ষা কিভাবে হবে?

আর সেই রায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। এবার সেই গোয়ার স্কুলের ঘটনায় আদালত নির্দেশ দিয়েছে, স্কুলের শিক্ষকের মধুর শাসন অপরাধ (Corporal Punishment in Schools) নয়, বরং তার চরিত্র গঠন করতে পারে। তবে অবশ্যই সেটা অত্যাচারের পর্যায়ে যেন না পড়ে। জল খাওয়ার নাম করে পড়ুয়া যদি ক্লাসের বাইরে থাকতে পছন্দ করে, এতে তার সত্য বলার প্রবনতা ও চরিত্র বা বিকাশের হার দুটিই হ্রাস পায়। ফলে এই শাস্তি দেওয়ায় শিক্ষক এখানে অপরাধ করেন নি, তাই আগের রায় বাতিল করে শিক্ষক কে বেকসুর খালাস করে।

ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার বাড়ালো এই ব্যাংক, দেখে নিন বিস্তারিত।

আর তারপর থেকেই প্রশ্নটি উঠতে শুরু করেছে, তবে কি আবার শিক্ষক-শিক্ষিকারা পুরনো দিনের মতো ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনে মারতে (Corporal Punishment in Schools) পারবেন? তবে হয়তো সেই রকম পরিস্থিতি আর তৈরি হবে না। নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে হয়তো শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন। কিন্তু আগের মত Corporal Punishment in Schools সেই ছবি হয়তো আর দেখা যাবে না বলেই মনে হয়। সেই পরিস্থিতি একেবারেই বদলে গিয়েছে। তবে স্কুলে শাসন ও পাশ ফেল ফেরা প্রয়োজন, চাইছেন খোদ অবিভাবকেরাই।

এই বিষয়ে অনেক অবিভাবকের দাবী, স্কুলে শাসন ও পাশ ফেল ফিরলে পড়ুয়াদের পড়ার প্রতি আগ্রহ আরও বাড়বে, শিক্ষকদের ভয় পেলে বাড়ি থেকে পড়া করে যাওয়ার প্রবনতা বাড়বে। পরীক্ষায় ফেল করে এক ক্লাস বসে থাকলে বাড়িতে পড়ার প্রবনতা বাড়বে। যে পরীক্ষায় পাশ ফেল নেই, সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রকৃত মজা তারা কোনদিন বুঝতে পারবে না। এই বিষয়ে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। শিক্ষা ও চাকরী সংক্রান্ত খবর পেতে EK24 News ফলো করুন
Written by Rajib Ghosh.

চলতি মাসেই আরেকটি স্পেশাল ছুটি পাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মী ও শিক্ষকেরা।

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment