Medical Store Business – বিনামূল্যে ওষুধের দোকানের লাইসেন্স নিয়ে ফার্মেসী ব্যবসা করে লাখ টাকা আয় করুন।

আপনি যদি পাকাপাকি ভাবে ব্যবসা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চান তবে, ওষুধের দোকান বা Medical Store Business বা ফার্মেসী ব্যবসার কথা চিন্তা করে দেখতে পারেন। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, অতিমারীর সময়ে সমস্ত ব্যবসা মার খেলেও এই ব্যবসায় কিন্তু একটুও ভাটা পড়েনি। তাই ভালো যায়গায় যদি ফার্মেসী দোকান দিতে পারেন তবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

How to start Pharmacy or Medical Store Business:

লাইফ স্টাইল বদলাচ্ছে, রোগ বাড়ছে। অসুস্থ হলেই ওষুধের প্রয়োজন। আর তাই প্রয়োজন হচ্ছে চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের। ফলে বর্তমান সময়ে যত ব্যবসা রয়েছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং লাভজনক ব্যবসা হল মেডিসিনের ব্যবসা বা Medical Store Business এই মুহূর্তে যদি খুব সহজে কোনো ব্যবসা করে লাভ করতে চান, তাহলে মেডিসিন শপ বা মেডিসিন স্টোর খোলার ব্যবসা করা যেতে পারে।

তবে মেডিসিন শপ বা স্টোর (Medical Store Business) খুলতে গেলে অন্যান্য ব্যবসার মতো খুব সহজে শুরু করা যায় না। এর জন্য সরকারি নিয়মানুযায়ী বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনি বড় আকারে একটা মেডিসিন শপ খুলে সেখানে কোনো ফার্মাসিস্ট ডিগ্রীধারী ব্যক্তিকে মাস মাইনে দিয়ে নিয়োগ করতে পারেন এবং আপনার ব্যবসা খুব সহজেই চালিয়ে যেতে পারেন।

এছাড়া আরেক পদ্ধতিতে Medical Store Business বা মেডিসিনের ব্যবসা করা যায়। তা হল আপনাকে নিজে একটি ফার্মাসিস্ট ডিগ্রি করার জন্য কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে। ফার্মাসিস্ট কোর্স সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে আপনি মেডিসিন শপ নিজেই খুলতে পারবেন।
তবে ফার্মাসিস্ট কোর্স পাশ হয়ে গেলে ফার্মাসিস্ট Pharmacist হলেন। কিন্তু মেডিসিন শপ খোলার জন্য আপনাকে নিজের রাজ্যের ফার্মেসি কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপরেই মেডিসিন শপ খোলার আইন অনুযায়ী লাইসেন্স বা অনুমোদন পাবেন।

এবার Medical Store Business বা মেডিসিন স্টোর করতে গেলে আপনি নিজের দোকান তৈরি করে বা নিজের জায়গায় এই Medical Store Business ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ফার্মাসিস্ট কোর্স সম্পূর্ণ করে ব্যবসা শুরু করতে অন্ততপক্ষে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তবে বিনিয়োগ করার পরে ব্যবসার দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে নজর দিতে হবে।

কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবেন?
যে সমস্ত খরিদ্দাররা আপনার কাছে ওষুধ কিনতে আসবেন, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এখন ডিস্কাউন্ট এর বাজার চলছে। তাই আশেপাশের কোন দোকানে কি ডিস্কাউন্ট দেয়, সেটা নজর রাখতে হবে। পারলে তারচেয়ে বেশি ছাড়ে ঔষধ বিক্রয় করতে হবে। এছাড়াও আপনার দোকানের কর্মচারীদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যদি কোনো মানুষ আপনার দোকানে এসে কোনো প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে থাকেন বা আপনার স্টকে না থাকে, তাহলেও সেই ওষুধটি যদি আপনি অন্য কোনো জায়গা থেকে আনিয়ে সেই ব্যক্তিকে দিতে পারেন, তাহলে সেই খরিদ্দার আপনার কাছে যে কোনো প্রয়োজনেই ওষুধ নিতে আসবে। এইভাবে ধাপে ধাপে আপনার মেডিসিন শপের ব্যবসাকে (Medical Store Business) এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

মেডিসিনের ব্যবসা (Medical Store Business) লাভজনক অবশ্যই। তবে সেক্ষেত্রে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা কোনো ক্লিনিক থাকলে ভালো হয়। তাহলে মেডিসিন স্টোরের চাহিদা বেশি থাকে। এই সমস্ত জায়গায় মেডিসিন শপ খুব ভালোভাবে চলে। কারণ মানুষ চিকিৎসককে দেখানোর পরেই যে ওষুধের প্রয়োজন হয় সেই ওষুধ কিনতে কাছাকাছি কোনো মেডিকেল শপের খোঁজ করেন। আর আপনার দোকানটি যদি হাসপাতাল বা কোনো ক্লিনিক এর পাশে হয় তাহলে সহজেই সেই খরিদ্দার আপনার দোকানে আসবে। এছাড়া হাসপাতাল কিম্বা নাম করা ডাক্তার আপনার দোকানে বসাতে হবে। তাহলে অনেক গুলো পারমানেন্ট কাস্টোমার আপনি পেয়ে যাবেন।

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, Medical Store Business বা মেডিসিন দোকান খুলে কি রকম লাভ হতে পারে? একটি মেডিসিন শপ খুলে ঠিকভাবে ব্যবসা চললে প্রতিমাসে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন। তবে একটি কথা আগেও বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ওষুধ বিক্রির দিকে নজর দেওয়ার থেকেও খরিদ্দারদের আপনার দোকানে আসার পর কোনো ওষুধের জন্য যেন অন্য জায়গায় যেতে না হয়। একটু সময় নিয়ে হোক বা অন্য কোনো জায়গা থেকে আনিয়ে দিয়ে হোক, সেই খরিদ্দারকে আপনাকে ধরে নিতে হবে। ফলে পরবর্তীতে কোনো ওষুধের প্রয়োজন হলে সেই ব্যক্তি আর অন্য কোথাও যাবেন না। এইভাবেই মেডিসিন শপের ব্যবসা খুব ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।

Post Office Scheme Recurring Deposit (পোষ্ট অফিসে সঞ্চয় প্রকল্প)

মেডিসিন দোকান বা Medical Store Business যেভাবেই শুরু করুন না কেন আপনাকে ড্রাগ লাইসেন্স Drug License নিতেই হবে। সেক্ষেত্রে দুই ধরনের ড্রাগ লাইসেন্স রয়েছে রিটেল ড্রাগ লাইসেন্স এবং হোলসেল ড্রাগ লাইসেন্স। আপনি যে ধরনের ব্যবসা শুরু করতে চান প্রয়োজন অনুযায়ী সেই ড্রাগ লাইসেন্স করে নিতে হবে।
এবার নিজে মেডিসিন শপ করতে গেলে কিছু ফার্মাসিস্ট কোর্স করে নেওয়া প্রয়োজন। এবার দেখে নেওয়া যাক, পর্যায়ক্রমে সেই ফার্মাসিস্ট কোর্সগুলো কোন যোগ্যতায়, কিভাবে সম্পন্ন করা যায়:

ডি ফার্মা D-Pharma
এই কোর্সের জন্য আপনার পিসিএম সাবজেক্ট থাকতে হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে। দুই বছরের ডি ফার্মা কোর্স কমপ্লিট করার পরে তিন মাসের জন্য কোন মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেলে ইন্টার্নশিপ করতে হবে।
এম ফার্মা M-Pharma
এই কোর্সটি দুই বছরের। এম ফার্মা কোর্সে ভর্তি হতে গেলে বি ফার্মা কোর্সে কমপ্লিট করে থাকতে হবে। এছাড়াও অ্যাডমিশনের সময় বি ফার্মা কোর্সে অন্তত ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস করতে হবে।

আরও পড়ুন, নতুন ব্যবসা, বিরাট লাভ। ছোট্ট মেশিন কিনে এই ব্যাবসা শুরু করলে কাস্টোমার হামলে পড়বে।

বি ফার্মা B-Pharma
এই কোর্সটি তিন বছরের। এর জন্য উচ্চমাধ্যমিকে পিসিএম সাবজেক্ট থাকতে হবে। Competition Examination এ পাস করতে হবে এই বি ফার্মা কোর্সে ভর্তির জন্য।
ফার্মা ডি Pharma-D
এই কোর্সে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিকে পিসিএম সাবজেক্ট থাকতে হবে এবং বি ফার্মা দু বছরের কোর্স কমপ্লিট করতে হবে। এই কোর্সটি মূলত চার বছরের। তবে সম্পূর্ণ কোর্স কমপ্লিট করতে ছয় বছর সময় লাগবে।

আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

ফলে ওষুধের দোকান বা Medical Store Business করে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে মানুষের অসুস্থ হলেই ওষুধ লাগে, তাই এর চাহিদা প্রচুর। তবুও এই ব্যবসা করতে গেলে অন্যান্য ব্যবসার মত কিছু ঝুঁকি থেকেই যায়। সেই পরিস্থিতি থেকে নিজেকেই ব্যবসা করার জন্য কৌশলে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
Written by Rajib Ghosh.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment