লটারি টিকিট কেনার আগে জেনে শুনে Lottery Ticket কাটুন। নইলে পুরো টাকাটাই জলেই যাবে। ওয়েবসাইটে লটারি কাটা নিয়ে প্রচুর টিপস দেখে থাকবেন। তবে টিকিটেই যদি গলদ থাকে তবে হাজার হিসাব করে, হাজার টেকনিক দিয়েও পুরষ্কার জুটবেনা। তাই পুরো প্রতিবেদনটি পড়ে জেনে বুঝে লটারি টিকিট কাটুন।
জীবনের অনেক স্বপ্নের বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। কিন্তু চাইলেই তো আর টাকা পাওয়া যায় না। ফলে বহু স্বপ্ন অপূর্নই থেকে যায়। প্রতিটি মানুষ বিলাসিতার মধ্যে জীবন যাপন করতে চান। আর তার জন্য চাই টাকা। এক টাকা দু টাকা নয়, অন্ততপক্ষে লাখপতি বা কোটিপতি হতেই হবে। আর সেই আশা পূরণ করার জন্যই লটারি টিকিট (Lottery Ticket) কাটতে থাকেন নিয়মিত।
অনেক সময় দেখা যায়, হয়তো কিছু ছোটখাটো পুরস্কার মিলেছে। আবার বহু সময় তাও মেলে না। কিন্তু এদিকে প্রতিদিন লটারির টিকিট কাটার জন্য একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পকেট থেকে খরচ হয়ে যায়। অনেকের তো ছট খাটো একটি পুরষ্কার পাওয়ার পর এমন নেশা হয়ে যায়, যেন লটারি না কাটতে পারলে ঘুম আসতেই চায়না। আর যদি জানা যায়, সেই টাকা দিয়ে এতদিন ধরে যে লটারি টিকিট আপনি কেটে এসেছেন তা একেবারে জাল।
লটারি টিকিট জালিয়াতিঃ
নকল লটারির টিকিটেই এতদিন পয়সা ঢেলেছেন। হ্যাঁ, এরকম ঘটনাই ঘটেছে রাজ্যে। ঝাড়খন্ড ডেলি লটারির নামে এক জাল লটারি পাচারকারী চক্রের হদিশ পেয়েছে আসানসোলের জামুড়িয়া থানার পুলিশ।
ঝাড়খন্ড লটারির নামে জাল লটারি বিক্রি করে বেশি মুনাফা তুলে নিচ্ছিল ওই পাচারকারী চক্র। সাধারণ মানুষেরা সেখান থেকে টিকিট কাটছিলেন। এরপরে দেখা যায়, মোটা অংকের পুরস্কার লটারি টিকিটে ঘোষিত হওয়ার পরেও সেই লটারি বিক্রেতারা পুরস্কারের টাকা দিতে পারছিলেন না।
লটারি জেতার আসল রহস্য ফাঁস, এই টেকনিক শিখতে পারলেই ঘুরবে ভাগ্যের চাকা!
তারপরেই কয়েকজন লটারি ক্রেতা জামুরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আর এরপরেই আসানসোলের জামুরিয়া থানার পুলিশ লটারি টিকিট পাচারকারী চক্রের উপর নজরদারি বাড়িয়ে প্রায় কোটি টাকার জাল লটারি সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ড লটারির নামে আসানসোলের বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় এই জাল লটারি তৈরি করে আসানসোল দুর্গাপুর অঞ্চলের দোকানে যোগান দেওয়া হয়।
ছোট্ট ভুলে এক কোটি গ্রাহক পাবেন না রেশন, গরীব মানুষের মাথায় হাত।
ধৃতদের মধ্যে তিনজন কুলটি থানার নিয়ামতপুরের বাসিন্দা এবং একজন বার্নপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল লটারির পেছনে বড়চক্র রয়েছে। ঝাড়খন্ড লটারির নামে প্রিন্ট করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। ঝাড়খন্ড রাজ্যে এই ডেইলি লটারির উপরে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। তারপরও কিভাবে এই রাজ্যে বিক্রি হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
জাল লটারি পাচারকারীদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চায়। এর পরেই জামুরিয়া থানার পুলিশ পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করে। আর এর পরই লটারি টিকিট ক্রেতাদের মধ্যে আশংকা তৈরী হয়েছে। যে আপনি যে টিকিট টি কিনছেন সেটি আসল তো? তাই একটু জেনে বুঝে খজ খবর নিয়ে লটারির টিকিট কাটুন।
Written by Rajib Ghosh.