New Business Ideas – পকেট মানি দিয়ে শুরু করুন নতুন বছরে নতুন ব্যবসা, মালামাল হয়ে যাবেন।
আপনি যদি বেকার হয়ে থাকেন, এবং চাকরী খুজে ও মনের মতো চাকরি পাচ্ছেন না, এবং যদি নতুন কোনও সম্মানজনক ব্যবসা পান, তবে করার ইচ্ছে রয়েছে। তবে এই নতুন ব্যবসার আইডিয়া টি আপনার জন্য ইউনিক ও ভালো লাগতে পারে।
চাকরির বাধাধরা গতানুগতিক জীবন অনেকেই পছন্দ করেন না। তবুও সংসার প্রতিপালনের জন্য চাকরি করতেই হয়। ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলেও বহু সময় মোটা পুঁজির অভাবে তা করা হয়ে ওঠে না। কিন্তু এমন নতুন ব্যবসা যদি করতে পারেন যেখানে অল্প পুঁজি দিয়েই ব্যবসা শুরু করা যায়, আবার উপার্জন হতে পারে যথেষ্ট লাভজনক। তাহলে সকলেই সেই ব্যবসার সম্বন্ধে একবার খোঁজ নিতে আগ্রহী হবেন। নতুন বছরের শুরুতে এরকম একটি নতুন ব্যবসা শুরু করতেই পারেন। এবার জেনে নেওয়া যাক কিসের ব্যবসা:
Banana Powder Manufacturing Business Plans
ব্যবসাটি হলো কলার গুড়োর ব্যবসা:
এই ব্যবসা শুরু করতে খরচ অনেক কম। অথচ মোটা টাকা উপার্জন করা যায়। কলার গুড়োর ব্যবসা বা Banana Powder Manufacturing Business হলো আমরা যে কলা খেয়ে থাকি, সেই কলা প্রসেসিং করে পাউডারের মতো করে প্যাকেটজাত করে মার্কেতে ও অনলাইনে বিক্রয় করা। এই ব্যবসার চাহিদা প্রচুর। আর খুবই কম মূলধন দিয়ে এই নতুন ব্যবসা শুরু করা যায়। কলার পাউডার ব্যবসা শুরু করতে প্রথমে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেই হবে।
বেড়ে গেল গ্যাসের দাম! বছরের শুরুতেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের.
কিভাবে শুরু করা যেতে পারে?
প্রথমেই এই নতুন ব্যবসা করতে গেলে ব্যানানা ড্রায়ার মেশিন (Banana Powder Manufacturing Machine) এবং মিক্সচার মেশিন লাগবে। আপনার স্থানীয় কোনো বাজার থেকেও মেশিনগুলি কিনতে পারেন। আবার www.indiamart.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনেও মেশিন কিনতে পারেন। এছাড়া olx থেকেও ৫ হাজারের মধ্যে ইন্স্যুরেন্স সহ সেকেন্ড হ্যান্ড মেশিন পেয়ে যাবেন, যেগুলো ৩ থেকে ৪ বছর ভালো চলবে।
কত টাকা আয় হতে পারে:
কলা থেকে যে পাউডার তৈরি হবে সেটা হালকা হলুদ রঙের হয়। এই পাউডার একটি পলিথিন ব্যাগ কিম্বা একটি কাঁচের বোতলে প্যাক করা যেতে পারে। এই পাউডার বাজারে ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হয়। এই ১ কেজি পাউডার করতে আপনার প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকার কলার প্রয়োজন। যদি দিনে ৫ কেজি কলার গুড়ো তৈরি করেন, তাহলে ৩৫০০ থেকে ৪৫০০ টাকা লাভ হবে।
কলার গুড়োর ব্যবহার:
এই কলার গুঁড়ো শিশুদের জন্য উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। কলার গুড়ো হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে। এটি ত্বকের জন্যও উপকারী। বর্তমানে ডায়েটিসিয়ান ও ডাক্তার এই প্রডাক্ট ব্যবহার করতে বলেন। যাদের ডায়েবেটিক রয়েছে তারা চিনি ছাড়াই আয়রন পেতে পারেন এই পাউডার থেকে, তাই বাজারে এর কদর রয়েছে, কিন্তু কম্পিটিশন খুবই কম। ফুড সেফটির লাইসেন্স থাকলে, অনলাইনেও এই প্রডাক্ট বিক্রয় করতে পারেন।
পোষ্ট অফিসে টাকা রেখে পথে বসলেন প্রচুর মানুষ। হিসেব করে টাকা রাখুন।
কলার গুড়ো তৈরি করার পদ্ধতি:
সবুজ কলা ফল প্রথমে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট সলিউশন দিয়ে পরিষ্কার করুন। তারপরে খোসা ছাড়িয়ে পাঁচ মিনিট সাইট্রিক অ্যাসিডের দ্রবণে ডুবিয়ে রাখুন। ছোট ছোট করে ফলগুলো কেটে নিন। এরপর ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কলার টুকরোগুলিকে ২৪ ঘন্টার জন্য গরম হাওয়ায় শুকোতে দিন। তবে কলার টুকরোগুলি যেন পুরোপুরি শুকিয়ে না যায়। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যতক্ষণ না সূক্ষ্ম পাউডার হয়, ততক্ষণ এই টুকরোগুলো মিক্সারে রেখে ভালো করে পিষতে থাকুন।
কেমন লাগলো এই নতুন ব্যবসাটি। এই ধরনের পোষ্ট পেতে EK24 News এর সঙ্গে থাকুন।
Written by Rajib Ghosh.