আপনার যদি পোষ্ট অফিসে টাকা জমা থাকে কিম্বা পোষ্ট অফিসে রেকারিং করে থাকেন তবে, এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি প্রায় ২০০ গ্রাহকের একাউন্ট ফাঁকা হয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। তারা টাকা জমাতেন পোষ্ট অফিসে, খোঁজ নিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্ট ফাঁকা, এরপর কি হলো? এরকম ঘটনা আকছারই ঘটছে, বিস্তারিত জেনে রাখুন।
Post Office Scheme – পোষ্ট অফিসের টাকা গায়েব।
বিভিন্ন ব্যাংক ছাড়াও পোস্ট অফিসে টাকা সঞ্চয় করেন অনেকেই। আর পোস্ট অফিসের ওপর অধিকাংশ মানুষ ভরসা করেন। পোস্ট অফিসে একাধিক স্কিম (Post office Scheme) রয়েছে যেখানে অল্প বিনিয়োগ করেও দীর্ঘ মেয়াদে যথেষ্ট ভালো লাভ তোলা যায়। আর সেই কারণে খেটে খাওয়া সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষেরা টাকা সঞ্চয় করেন পোস্ট অফিসে।
এবার সেই পোস্ট অফিসে টাকা সঞ্চয় করে সর্বস্ব খোয়ালেন গ্রাহকেরা। কষ্টের টাকা সঞ্চয় করে প্রতারণার (Fraud) শিকার হলেন। এমনটাই ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের বালিসাই পোস্ট অফিসে।
ওই স্থানীয় এলাকার মানুষেরা পোস্টাল এজেন্টের মাধ্যমে পোস্ট অফিসে টাকা জমা করতেন।
যে পোস্টাল এজেন্টের(Postal Agent) মাধ্যমে টাকা জমা করতেন, সেই এজেন্ট সাজিত সাহা নামের ব্যক্তি প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে ফেরার হয়ে গেছেন। প্রায় ২০০ জন ব্যক্তির নামে টাকা জমা হতো। এই ঘটনা জানার পরেই বালিসাই পোস্ট অফিস ঘিরে বিক্ষোভ এবং ভাঙচুর করতে উদ্যত হয় স্থানীয় মানুষ। রামনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পুলিশের কাছে প্রতারিত গ্রাহকেরা এই ঘটনায় পোস্ট অফিসের নতুন পোস্টমাস্টার যুক্ত বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, নতুন পোস্টমাস্টার যেদিন থেকে পোস্ট অফিসের দায়িত্ব নিয়েছেন সেদিন থেকেই এই ধরনের কাজকর্ম শুরু হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পোস্টমাস্টার (Postmaster) বলেছেন, এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা ফেরত দিতে হবে, পশ্চিমবঙ্গ বাসীদের, নামের তালিকা দেখুন।
সরকার এই ব্যাপারে সাহায্য করবেন। পোস্ট অফিসের যে এজেন্ট ছিলেন সাজিত সাহা, ওনার বাবাও আগে এই পোস্ট অফিসের এজেন্ট ছিলেন। তবে তিনি ভাল লোক ছিলেন বলেই গ্রামবাসীরা জানান। তাই সকলেই ওর ছেলে সাজিতের কাছে টাকা জমা এবং তোলার দায়িত্ব দিতেন। তবে বেশ কিছুদিন ধরে গ্রাহকদের বই এবং ফোনে টাকার মেসেজ না আসায় তাদের সন্দেহ হয়।
তখন পোস্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সাজিত বহু লোকের টাকা নিয়ে ফেরার হয়ে গিয়েছেন। এর পরই স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাই অবশ্যই প্রতিমাসে একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করুন। নিয়মিত বই আপডেট করান। মনে রাখবেন, সতর্কতা এই সমস্যের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
Written by Rajib Ghosh.
জানুয়ারি থেকে বদলে যাচ্ছে LIC Policy এর নিয়ম, নতুন ও পুরোনো সমস্ত পলিসিতে এই নিয়ম চলবে।