4Th Wave – জ্বর শ্বাসকষ্টে ভুগছে বহু পড়ুয়া, বন্ধ হয়ে গেল বহু স্কুল, নবান্নে জরুরী বৈঠক, দু সপ্তাহ স্কুল বন্ধ নিয়ে আজ হতে পারে সিদ্ধান্ত।

একের পর এক ছাত্রীর শ্বাসকষ্ট, বমিভাব, অস্বস্তি, ছড়িয়েছে 4Th Wave আতঙ্ক, কী বলছেন চিকিৎসকরা।

একের পর এক ছাত্রী অসুস্থ। শ্বাসকষ্ট, বমি ভাব, শরীরে অস্বস্তি প্রত্যেকের। তবে কি 4Th Wave আসন্ন? প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীর শরীরে অসুস্থতা দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট, বমি ভাব এবং শরীরের অস্বস্তি শুরু হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর। তৎক্ষণাৎ স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্লাস রুম থেকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে টিচার রুমে চলে আসেন।

ছাত্রীর অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হয়। তারপর রাধানগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ছাত্রীটিকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মুনিনগর রাধাকান্ত বিদ্যাপীঠ স্কুলে।

এর কিছুক্ষণ পর থেকেই দেখা যায়, ওই স্কুলের সপ্তম, নবম, দশম শ্রেণীর একাধিক ছাত্রী পরপর অসুস্থতা (4Th Wave) বোধ করতে থাকেন। একই রকম সমস্যা তৈরি হয় ছাত্রীদের। শরীরে অস্বস্তি, বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। একসঙ্গে এতজন ছাত্রীর অসুস্থতা দেখা দেওয়ায় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাঁকুড়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় 10 জন ছাত্রীকে একই রকম অসুস্থতা নিয়ে বাঁকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করেন, প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীদের অসুস্থতার পরে অন্যান্য ছাত্রীদের মধ্যে 4Th Wave আতঙ্ক তৈরি হয়। তার ফলে এই অসুস্থতা হতে পারে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকার পরে হঠাৎ জল খেলে এই ধরনের সমস্যা শরীরে তৈরি হতে পারে। ঘটনার খবর পেয়ে বিষ্ণুপুরের বিডিও শতদল দত্ত বাঁকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার তদারকির জন্য ছুটে যান। কি কারণে এই ঘটনা অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। (4Th Wave).

মিড ডে মিল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, কি অভিযোগ এলো জানেন?

সম্প্রতি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা (4Th Wave) লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও একটাই আশার কথা, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও মারাত্মক কোনো উপসর্গ অধিকাংশ রোগীর মধ্যেই দেখা যায়নি। শারীরিক জটিলতাও সেরকম তৈরি হয়নি।

তার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের অধিকাংশ মানুষের ডবল ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে আক্রান্ত হলেও (4Th Wave) অধিকাংশ মানুষেরই সেরকম শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে না। চিকিৎসকেরা সেরকমটাই বলছেন। তবে তার মধ্যেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ওই স্কুলে একসঙ্গে 10 জন ছাত্রীর একই রকম শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য যাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

এদিকে স্কুল বন্ধ নিয়ে কি ভাবছে রাজ্য? গত সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন আপাতত স্কুল বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নেই তবে সংক্রমণ বাড়লে (4Th Wave) প্রাথমিক স্কুল নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। কারন তাদের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়নি। এদিকে আগামী ২ সপ্তাহের জন্য মনিপুরে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অই রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামুলক।

তবে এখনও রাজ্য বাসীর হুঁশ নেই। কেউ মাস্ক পরছে না। স্কুলেও মাস্ক পরার নির্দেশিকা থাকলেও, অধিকাংশ স্কুলই তা মানছে না। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে চলছে চাপানউতোর। এরপরে সংক্রমণ ফের লাগাম ছাড়া হলে ফের স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হবে প্রশাসন। এদিকে স্কুল বন্ধ না রেখে বরং সমস্ত স্কুলেই আগেভাগে সতর্কবার্তা জানিয়ে দিয়ে মাস্ক ও সংক্রমণ বিধি কড়া নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষক সংগঠন BTEA.
Written by Rajib Ghosh.

কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের জন্য 10 হাজার টাকা স্কলারশীপ

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment