Salary Hike -সমস্ত প্রাইভেট সংস্থার কর্মীদের নুন্যতম বেতন বাড়ানোর নির্দেশ, সবার কমপক্ষে ১০% বেতন বাড়ছে, রিপোর্ট দেখুন।

বেতনবৃদ্ধি বা Salary Hike or Salary Increment নিয়ে আশার আলো দেখছেন এবার দেশের বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা। হায়ার এন্ড ফায়ার (Hire and Fire) নীতিতেই চলে প্রাইভেট সংস্থাগুলি। কর্মীরা কাজ দিতে পারলে ঠিক আছে, যদি সামান্য একটু ভুল ত্রুটি কোথাও হয়, সেখানে সংশোধনের কোনো সুযোগ না দিয়েই তাকে একেবারে চাকরি থেকে ছাটাই পর্যন্ত করে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, বেতন বৃদ্ধির সুযোগ অধিকাংশ সংস্থাতেই দেখা যায় না।

Salary Hike for Private Sector employees:

যা বেতন দেওয়া হয়, তা বর্তমান আর্থিক বাজারের হিসাবে একেবারেই ন্যূনতম। আর সেই বেতনও বহু বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা সঠিক সময়ে পান না বলেও অভিযোগ রয়েছে। বহু সংস্থা তাদের কর্মীদের প্রাপ্য ছুটি পর্যন্ত দেন না। দেখা যায়, ছুটি নিলে সেই সমস্ত কর্মীদের বেতন পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়। এক অর্থে বলতে গেলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেশজুড়ে বেসরকারি সংস্থাগুলি নিয়মিত শোষণ চালিয়ে যায়।

আর দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক সহ সার্বিক নিম্নগামী পরিস্থিতির কারণে অধিকাংশ মানুষকেই বেসরকারি সংস্থার সেই হুকুমদারি মেনে চলতে হয়। তবে এবার একটি সমীক্ষার রিপোর্ট (Survey Report) থেকে জানা গিয়েছে, প্রাইভেট সংস্থার কর্মীদের Salary Hike কপালে শিকে ছিঁড়তে পারে। তার কারণ, এবার অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থা (Private Sector) তাদের কর্মীদের ধরে রাখার দিকেই মন দিচ্ছে।

তাই এবার বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের এক লাফে অনেকটাই বেতন বৃদ্ধি (Salary Hike) হতে পারে। বিশেষ করে যে সমস্ত কর্মীদের ট্যালেন্ট বা প্রতিভা রয়েছে, কাজের বিষয়ে দক্ষ, তাদেরকে ধরে রাখতে চাইছে কোম্পানিগুলি। ফলে তাদের বেতন বৃদ্ধি আরো বেশি হতে পারে।

সরকারি চাকরির কথা ছেড়ে দেওয়া যাক। সেখানে তারা একের পর এক বিভিন্ন পদ্ধতিতে সরকারের কাছ থেকে সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা সহ বেতন বৃদ্ধির সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু এবার কর্ন ফেরি নামক একটি সংস্থার তরফে যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, সেখানে যথেষ্ট সুখবর রয়েছে বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের(Private Sector Employees) জন্য। ৮১৮ টি সংস্থার মোট ৮ লক্ষ কর্মীর ওপর এই সার্ভে করেছে কর্ন ফেরি নামক সংস্থাটি।

সেই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এবার ভারতের অধিকাংশ বেসরকারি বৃহৎ কোম্পানি বা ছোটখাটো সংস্থাও তাদের কর্মীদের ৯.৮% পর্যন্ত বেতন বাড়াতে পারে। আগে ৯.৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল। এবার ০.৪ শতাংশ আরো বাড়তে চলেছে।
সংক্রমণের সময় ২০২০ সালে কর্মীদের সেই অর্থে বেতন বৃদ্ধি একেবারেই হয়নি। তখন ৬ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বেড়েছিল।

মাত্র 400 দিন এই স্কীমে টাকা রাখুন, আর পেয়ে যান অবিশ্বাস্য রিটার্ন, উচ্চ সুদে ঝড়ের গতিতে বাড়বে টাকা।

তবে করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে অধিকাংশ সংস্থাই তাদের কর্মীদের বেতন তো বাড়ায়নি (Salary Hike), উল্টে বহু ক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই পর্যন্ত করে দিয়েছে। আর সেই কষ্ট ভোগ করেছেন অধিকাংশ দেশবাসী। এবার দেখা যাচ্ছে, সেই সমস্ত সংস্থাই যোগ্য, ট্যালেন্ট রয়েছে, দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট বেশি পরিমাণে বেতন বাড়াতে চলেছে। যে সমস্ত কর্মীদের মধ্যে যথেষ্ট ট্যালেন্ট এবং দক্ষতা রয়েছে, তাদের বেতন বৃদ্ধি (Salary Hike) ১৫ থেকে ৩০% পর্যন্ত হতে পারে।

স্বাস্থ্য সেবা, বিজ্ঞান, হাইট- টেকনোলজি, অটো সেক্টর, রাসায়নিক দ্রব্য সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা, মোটা টাকার ইনক্রিমেন্ট পেতে চলেছেন। স্বাস্থ্য সেবা, বিজ্ঞান এবং হাইট টেকনোলজি খাতে যুক্ত কর্মীদের ১০.২ শতাংশ থেকে ১০.৪ শতাংশ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট বাড়তে পারে। স্বাস্থ্য সেবা (Health Sector) খাতে যুক্ত কর্মীরা ৯.৮% ইনক্রিমেন্ট পাবেন। রাসায়নিক দ্রব্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা ৯.৬ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট পেতে পারেন। পাশাপাশি খুচরো (Retail Sector) যে কোনো সেক্টরে যুক্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা ৯ শতাংশ পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট (Salary Hike Increment) পেতে চলেছেন।

এবারের বাজেটে চাকরিজীবী ও সাধারন মানুষদের জন্য থাকছে 5 টি চমক।

কর্ন ফেরি সংস্থার চেয়ারম্যান নবনীত সিং জানান, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার বিষয়টি জানা যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে ভারতবর্ষের অর্থনীতির ক্ষেত্রে GDP 6 শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে (Salary Hike) পারে। বেসরকারি সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে যে সমস্ত কর্মীরা দুর্দান্ত কাজ করেন, যথেষ্ট ট্যালেন্ট(Talent) রয়েছে, তাদের বেতন ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

সমীক্ষার রিপোর্টে এই বিষয়টিও জানা গিয়েছে যে, অধিকাংশ কোম্পানি হাইব্রিড মডেলেই কাজ করার পক্ষপাতি। প্রায় ৬০ শতাংশ বেসরকারি সংস্থাই এই মডেলে কাজ করতে চাইছে। এক্ষেত্রে সেই সমস্ত সংস্থায় যুক্ত Tier 1 শহরের কর্মীরা Tier 2 এবং Tire 3 গ্রেডের শহরের কর্মীদের থেকে বেশি বেতন বৃদ্ধি আশা করছেন।
Written by Rajib Ghosh.

শেয়ার করুন: Sharing is Caring!

Leave a Comment