শ্রী বীরেন্দ্র অবসর নেওয়ার পর আপাতত কার্যনির্বাহী ডিজিপি নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সিনিয়রটির ভিত্তিতে রাজ্যের কার্যনির্বাহী ডিজিপি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ১৯৮৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার মনোজ মালব্য। রাজ্যের বর্তমান ডিজিপি শ্রী বীরেন্দ্র আজ, মঙ্গলবার অবসর নিচ্ছেন। কেন কার্যনির্বাহী ডিজিপি নিয়োগ করতে হচ্ছে? নবান্নের এক সূত্র জানাচ্ছে, ডিজিপি পদে রাজ্য সরকারের প্রথম পছন্দের তালিকায় নাম ছিল বিবেক সহায়, গঙ্গেশ্বর সিংয়ের মতো আইপিএস অফিসারের। কিন্তু সিনিয়রটির নিরিখে এই দুই আইপিএস অফিসার পিছিয়ে। তাছাড়া, নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী জখম হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিবেক সহায় সাসপেন্ড হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। জুন মাসের শেষ দিকে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষস্তরের এক আইএএস অফিসার ডিজিপি প্যানেলে ওপরের দিকে থাকা ১৯৮৭ ব্যাচের তিন আইপিএস অফিসার সুমনবালা সাহু, নীরজ নয়ন পাণ্ডে এবং অধীর শর্মাকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনজনই তা প্রত্যাখান করেন। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। চলতি বছরের ২৯ জুন ডিজিপি নিয়োগের প্রস্তাব সহ সাতজনের একটি প্যানেল দিল্লিতে পাঠায় রাজ্য। কিন্তু ইউপিএসসি জুলাই মাসে মুখ্যসচিবকে পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে বিস্তারিত তালিকা চেয়ে পাঠায়। ফলে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে থাকা রাজ্যের চার আইপিএস অফিসার সহ ২১ জনের তালিকা পাঠাতে হয় রাজ্যকে। কিন্তু সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে থাকা কোনও অফিসারকে ডিজিপি পদে নিয়োগ করতে রাজ্যের প্রবল আপত্তি রয়েছে। সূত্রের খবর, এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে গত ৩০ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। ফলে ডিজিপি নিয়োগ প্রক্রিয়া ‘বিচারধীন’ হয়ে পড়ে। সাধারণত, বিচারাধীন হয়ে গেলে ইউপিএসসি ডিজিপি নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠক ডাকে না। ফলে পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ প্রক্রিায় আপাতত থমকে গিয়েছে।